ঘুরবেন সেক্টর অফিসাররাও

সেক্টর অফিসারদেরও রুট-মার্চ করতে হবে। যেতে হবে বুথে বুথে। বুথ এলাকায় ঘুরে বেড়াতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে। মানুষের মন থেকে ভয় দূর করতেই ন্যূনতম ১০টি করে বুথে সেক্টর অফিসারদের রুট-মার্চ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৬ ০১:৩৬
Share:

সেক্টর অফিসারদেরও রুট-মার্চ করতে হবে। যেতে হবে বুথে বুথে। বুথ এলাকায় ঘুরে বেড়াতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে। মানুষের মন থেকে ভয় দূর করতেই ন্যূনতম ১০টি করে বুথে সেক্টর অফিসারদের রুট-মার্চ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

Advertisement

ভোটারদের ভয়-ভীতি কাটাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চের উপর জোর দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে গ্রামে গ্রামে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও। কিন্তু বাস্তব বলছে, সেই কাজে খামতি থেকে যাচ্ছে। প্রধান রাস্তাগুলিতে রুট-মার্চ হলেও অলিগলি বা প্রত্যন্ত গ্রামের ভেতরে বাহিনী যাচ্ছে না বলেই অভিযোগ। জেলাশাসক, জেলা পুলিশ বা রিটার্নিং অফিসারেরা বিভিন্ন গ্রামে ঘুরছেন ঠিকই, কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই কম। ফলে নয়াগ্রাম হোক বা গোপীবল্লভপুর, কেশিয়াড়ি হোক বা শালবনি - বহু ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী চোখেই দেখেননি। অথচ, জেলায় প্রথম দফা ভোট আর এক সপ্তাহ পরেই।

এই অবস্থায় সেক্টর অফিসারদের কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বুথ পরিদর্শনে যেতে নির্দেশ বলেছে কমিশন। যদিও প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, এটা নতুন ব্যাপার নয়। সেক্টর অফিসারদের বুথ পরিদর্শনে যেতে হয়। বুথের পরিকাঠামো, রাস্তাঘাট ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। যদিও সেক্টর অফিসাররা জানাচ্ছেন, বাহিনী নিয়ে রুট-মার্চ তাঁদের আগে করতে হয়নি।

Advertisement

কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এক একজন সেক্টর অফিসারের দায়িত্বে ১০-১২টি বুথ থাকে। একটি ব্লকে ২০০-৩০০ বুথ। ফলে রিটার্নিং অফিসার বা বিডিও-র পক্ষে সব এলাকায় যাওয়া এক কথায় অসম্ভব। তাই সেক্টর অফিসারদের সেই কাজে লাগানোয়, এবার প্রতিটি এলাকাতেই পুলিশি টহল দেখতে পাবেন ভোটারেরা। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা বলেন, “সকলেই গ্রামে যাচ্ছেন। আমিও যাচ্ছি। সেক্টর অফিসারেরাও বুথ এলাকায় যাবেন। অবাধ ভোট করতেই কমিশনের যাবতীয় নির্দেশ আমরা মানছি।’’

আগে সংবেদনশীল ও অতি সংবেদনশীল বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হত। যে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকত না সেখানে মাইক্রো অবজারভার, সিসিটিভি থাকত। এ বার প্রতিটি বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মানে সিসিটিভি বা মাইক্রো অবজারভার থাকবে না এমন নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথেই থাকবে ওয়েব কাস্টিং ও সিসিটিভির ব্যবস্থা। জেলার ১৫ শতাংশ বুথে এটা করতে হবে। আর ১০ শতাংশ বুথে থাকবে ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা। ১০ শতাংশ বুথে থাকবেন মাইক্রো অবজারভার। নির্বাচন কমিশনের দাবি, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সব ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কী সুফল মিলছে? জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়ার কথায়, “এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাজ ঠিকই রয়েছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায় বলছেন, আমাদের বিশ্বাস কমিশন অবাধ নির্বাচন করতে পারলে, মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারলে আমাদের ভাল ফলই হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন