Breastfeeding

জঙ্গলমহলের পঞ্চায়েতে স্তন্যপানের ঘর

এক অনুষ্ঠানে জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক অনন্য জানা ও ঝাড়গ্রামের বিডিও অভিজ্ঞা চক্রবর্তী প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানিকপাড়া শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২২ ০৭:১৫
Share:

নজির: পঞ্চায়েত অফিসে স্তন্যপান কক্ষ মানিকপাড়ায়। —নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত অফিসে স্তন্যপান করানোর কক্ষ। পৃথক ঘরে পোশাক বদলানোর সুযোগও পাবেন মহিলারা। শহরের বহু জায়গায় যে সুবিধা মেলে না তাই পাওয়া যাবে ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত মানেই যে রাস্তা বা নলকূপ সারাই নয়, সেই বার্তা দিয়েই শুক্রবার একই সঙ্গে ন’টি ব্যতিক্রমী প্রকল্পের সূচনা হল এই পঞ্চায়েতে।

Advertisement

এক অনুষ্ঠানে জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক অনন্য জানা ও ঝাড়গ্রামের বিডিও অভিজ্ঞা চক্রবর্তী প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন। পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে ২ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয়ে পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে একটি ভবন হয়েছে। সেখানে রয়েছে শিশুদের স্তন্যপান করানো ও মহিলাদের পোশাক বদলানোর জন্য দু’টি পৃথক ঘর। এ ছাড়াও সিভিল ইঞ্জিনিয়রিং পরীক্ষাগার তৈরি করতে। খরচ হয়েছে প্রয় ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা। জেলায় এ ধরনের পরীক্ষাগার এই প্রথম। পঞ্চায়েতের ঠান্ডা পানীয় জল প্রকল্পের জন্য ৬৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পাশাপাশি এই পঞ্চায়েতের উদ্যোগে মানিকপাড়া বালিকা বিদ্যালয় ও দুধকুণ্ডি চারুলতা বালিকা বিদ্যালয়ে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন ও ডিসপোজাল মেশিন বসানো হয়েছে। এ ছাড়াও এই গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে আমডিহা শিশু বান্ধব অঙ্গন তৈরি হয়েছে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে। গ্রামাঞ্চলে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে শিশু বান্ধব অঙ্গন জেলার মধ্যে এই প্রথম। বিডিও অভিজ্ঞা স্বীকার করেছেন, ‘‘ব্লকের অন্যতম ও গর্বের গ্রাম পঞ্চায়েত মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে গোদারাস্তায় যে কাজ হয়েছে। তা রাজ্য থেকে বার বার এসে পরিদর্শন হয়। এ জন্য প্রশংসিত হয়।’’

ন’টি প্রকল্পের মধ্যে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে তিন লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ভালুকখুলিয়া চেকড্যাম ও মুড়াবনি গ্রামে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে সাধারণ মানুষের জন্য শৌচালয় তৈরি হয়েছে। এদিন অনুষ্ঠানে ছিলেন মানিকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কল্যাণী মুদি ও পঞ্চায়েত স্বশক্তিকরণের দফতরের আধিকারিকেরা। অনুষ্ঠানের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন উপপ্রধান মহাশিস মাহাতো। মহাশিস বলেন, ‘‘আমাদের সীমাবদ্ধ ক্ষমতার মধ্য দিয়ে বিকল্প চিন্তাধারার নজিরবিহীন কাজ করার চেষ্টা করে চলেছি। এতে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন