চাঁইপাট কলেজের ছাত্র সংসদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে দাসপুর থানার কলোড়ার ঘটনা। মারধরে টিএমসিপি সদস্য শুভজিৎ সামন্ত আহত হন বলে অভিযোগ। রাতেই তাঁকে স্থানীয় সেকেন্দ্রারী প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় চাঁইপাট কলেজের ছাত্র সংসদের এসএফআই সদস্য সৈকত সামন্ত-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে টিএমসিপি-র পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি ছাত্রভোটে চাঁইপাট কলেজে টিএমসিপির সমর্থনে জেতেন প্রথম বর্ষের ছাত্র শুভজিৎ। যদিও ছাত্র সংসদ দখল করে এসএফআই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শনিবার রাতে টিউশন করে বাড়ি ফিরছিলেন চাঁইপাট কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র শুভজিৎ। অভিযোগ, কলোড়া বাজার এলাকায় সৈকতের নেতৃত্বে এসএফআই-র সমর্থকেরা শুভজিতের পথ আটকায়। শুভজিৎকে মারধর করা হয়। চিৎকার শুরু করেন তিনি। অভিযোগ, চিৎকারের শব্দ শুনে লোকজন জড়ো হতেই চম্পট দেয় তাঁরা। শুভজিতের অভিযোগ, “রাতে আমি বাড়ি ফিরছিলাম। এসএফআই কর্মীরা আমার পথ আটকে জানতে চায়, আমি কেন টিএমসিপি করি। কিছু বলার আগেই মার শুরু হয়। সৈকত সামন্তের হাতে লোহার রডও ছিল।”
যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সৈকত। এসএফআই নেতা তথা চাঁইপাট কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দুর্গাপ্রসাদ সাউয়ের দাবি, “কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তবে মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়। টিএমসিপি অপপ্রচার চালাচ্ছে। পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।” টিএমসিপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কাযর্করী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “সংগঠনের পক্ষ থেকে বিষয়টি থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি। পুলিশের উপর আমাদের আস্থা আছে। তবে দু’দিনের মধ্যে দোষীরা গ্রেফতার না হলে রাজনৈতিক ভাবেই আমরা মোকাবিলা করব।”