জেলা পরিষদের একটি আসন। সেখানে প্রার্থী হতে চান জেলা পরিষদের অন্তত হাফ ডজন নেতা। এমনই অবস্থা মেদিনীপুর সদর ব্লকে।
গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির আসনে প্রার্থী হওয়ার হিড়িক আরও বেশি! সোমবার থেকে মনোনয়নপর্ব শুরু হয়েছে। এ দিন সে ভাবে মনোনয়নই তোলেনি শাসক দল। এ দিন মেদিনীপুরে জেলা তৃণমূলের বৈঠক ছিল। ছিলেন দলের বিধায়ক, ব্লক সভাপতিরা।
বৈঠক শেষে অবশ্য তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, “বৈঠকে সব ব্লকের রিপোর্ট জমা পড়েছে। কোথাও কোনও আকচাআকচি নেই! প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত।” কোনও সমস্যাই নেই? অজিতবাবুর জবাব, “দু’একটি ক্ষেত্রে একটু সমস্যা রয়েছে। সেটা
সংরক্ষণের কারণে!”
পঞ্চায়েতের প্রার্থী ঠিক করতে এ দিন গড়বেতার এক অঞ্চলে বৈঠকে বসেন স্থানীয় নেতৃত্ব। ঐকমত্য হয়নি। শালবনি, কেশপুর, মেদিনীপুর গ্রামীণের ছবিটাও একই। মেদিনীপুর গ্রামীণের ইঁদকুড়িতে এ দিন ব্লক তৃণমূলের এক বৈঠক হয়। দলের এক সূত্রের দাবি, বৈঠকে আলোচনা হলেও প্রার্থী তালিকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। একই আসনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দুই নেতার মধ্যে না কি কথা কাটাকাটিও হয়। যদিও ব্লক তৃণমূলের এক নেতার দাবি, “বৈঠক সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে। পরে কারও সঙ্গে কারও মনোমালিন্য হতে পারে!”
পশ্চিম মেদিনীপুরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৭০২। এরমধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ৩ হাজার৪০। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬১১। জেলা পরিষদে ৫১। বস্তুত, প্রার্থী বাছতে যে হিমশিম অবস্থা হবে তা বুঝতে পেরেছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলা সফরে এসে খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বলতে হয়, ‘‘আমার আসনটা চলে গেল, ফলে আমি আগামী দিনে কাজ করার সুযোগ পাব না, এটা কিন্তু ভাববেন না।’’ দলের এক সূত্র মানছে, আগামী দু’তিনদিনের মধ্যে সমস্যা আরও জটিল হবে।
প্রার্থী তালিকা যদি প্রায় চূড়ান্তই হয়ে যায় তাহলে কেন এ দিন সে ভাবে মনোনয়ন তুলল না শাসক দল? তৃণমূলের জেলা সভাপতির জবাব, “৫ এপ্রিল থেকে আমাদের মনোনয়ন শুরু হবে।”