বেড়া দিয়ে রাস্তা ঘেরা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে গেল শাসকদলের নাম। গত রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের কুশবসানের রেড়িপুর এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের অজয় বেরা ও তাঁর অনুগামীরা এলাকার এক পরিবারের লোকেদের উপর চড়াও হয়। ওই পরিবারের লোকজনদের মারধর করে। ঘটনায় ৬ জন প্রহৃত হন। প্রহৃতেরা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তৃণমূলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি মিহির চন্দের কথায়, “ওখানে একটা গোলমাল হয়েছে। বেড়াকে ঘিরেই ওই গোলমাল বলে শুনেছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘দুই পরিবারের মধ্যে কোনও গোলমাল হয়ে থাকতে পারে। এটা স্থানীয় ব্যাপার। ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। দল ঘটনার সঙ্গে যুক্তও নয়।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অজয় বেরার দিকেই তো অভিযোগের তির? মিহিরবাবুর জবাব, “ঘটনার বিস্তারিত জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের রাস্তার ধারে এক পরিবারের বেড়া ছিল। এই বেড়া নিয়ে বিবাদ দীর্ঘদিনের। পরিবারের দাবি, তাদের রায়ত জমিই বেড়া দিয়ে ঘেরা ছিল। স্থানীয় কয়েকজনের অবশ্য দাবি, জমিটি ওই পরিবারের রায়ত নয়। ওই দিন অজয়বাবুর অনুগামীরা এসে ওই বেড়া ভেঙে দেন বলে অভিযোগ। বেড়া তুলে দিয়ে এখানে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়। বাধা দেয় বীরেন শীটের পরিবার। বীরেনবাবুর পরিবারের লোকজনদেরই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মার খান মহিলারাও। ৬ জন প্রহৃত হন। এরমধ্যে ৩ জন এখন বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ৩ জন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।