সঙ্কট মেটাতে রক্তদান মেডিক্যাল পড়ুয়াদের

সঙ্কটে ধুঁকছে জেলার সবচেয়ে বড় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। রক্তের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন রোগীর পরিজনেরা। সমস্যার খানিক সুরাহার আশায় রক্ত দিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের একদল পড়ুয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০২:০৪
Share:

জীবনদান: শিবিরে রক্তদান পড়ুয়াদের। —নিজস্ব চিত্র।

সঙ্কটে ধুঁকছে জেলার সবচেয়ে বড় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। রক্তের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন রোগীর পরিজনেরা। সমস্যার খানিক সুরাহার আশায় রক্ত দিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের একদল পড়ুয়া।

Advertisement

সঙ্কট কাটাতে মেদিনীপুর মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাঙ্কে বুধবার শিবির হয়। সেই শিবিরে রক্ত দেন উম্মে সালমা, মনীষা ঘোষ রায়, শুভজিৎ সুরাল, ইন্দ্রনীল দাসরা। উম্মে, শুভজিৎরা বলছিলেন, “এই সময়ে রক্তের সঙ্কট বাড়ে। মাঝেমধ্যেই অভাবের কথা শুনি। মেডিক্যালে রক্তের জোগান স্বাভাবিক রাখাটা আমাদের সকলের কর্তব্য। আর এই জোগানের অনেকটা আসে এই ধরনের শিবির থেকে।”

মনীষা, ইন্দ্রনীলদের কথায়, “দিন কয়েক আগেই এই শিবির করার পরিকল্পনা হয়। ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথাও হয়। সেই মতোই এ দিনের শিবিরের আয়োজন হয়।” তাঁদের সংযোজন, ‘‘শিবিরে রক্ত দিতে পেরে বেশ ভাল লাগছে। অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে।”

Advertisement

পড়ুয়াদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু। পঞ্চাননবাবুর কথায়, “ছাত্রছাত্রীদের এই উদ্যোগ ভাল। চিকিৎসার জন্য রক্তের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। রক্তদানে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দেখে ভাল লাগছে। আমাদের সকলেরই উচিত, রক্তদানে সকলকে অনুপ্রাণিত করা।”

রক্তদাতা তাপস সর্দার, রিমিল হাঁসদারা বলছিলেন, “শিবির কম হওয়ায় গরমে রক্তের সঙ্কট বাড়ে। আজও হয়তো হাসপাতালে এমন কেউ কেউ ভর্তি রয়েছেন, যাঁদের রক্তের খুব প্রয়োজন। আজকের এই শিবির তাঁদের বাঁচার রসদটুকু দিতে পারল। এটা ভেবেও ভাল লাগছে।”

বুধবারের শিবিরেও রক্ত দেন শতাধিক পড়ুয়া। ব্লাড ব্যাঙ্কের এক কর্মীর কথায়, ‘‘রক্তের অভাব মেটাতে তরুণ প্রজন্মের এগিয়ে আসা জরুরি। কম বয়সীদের অনেকেই রক্ত দিতে ভয় পান। বুধবারের শিবিরে পড়ুয়াদের রক্তদানের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন