জেনেছিলেন মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট চলছে। সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা। সমস্যার খানিক সুরাহার আশায় ব্লাড ব্যাঙ্কে এসে রক্ত দিলেন একদল কলেজ পড়ুয়া। পড়ুয়াদের বেশির ভাগই মেদিনীপুর কলেজের।
কলেজের একদল পড়ুয়া বিভিন্ন রকম সমাজসেবামূলক কাজকর্ম করেন। কখনও সচেতনতা শিবির। কখনও বা অন্য কোনও সামাজিক কর্মসূচি। শনিবারের এই শিবিরের উদ্যোক্তাদের অন্যতম, মেদিনীপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সৌমেন সাউ বলেন, “আমাদের সকলেরই সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে এ দিনের রক্তদান শিবির।” পড়ুয়াদের ডাকে সাড়া দিয়ে, তাঁদের উৎসাহিত করতে শিবিরে আসেন মাধবী মাইতি, সীতাংশু প্রধান, সুজিত দে প্রমুখ শিক্ষক-শিক্ষিকা। মাধবীদেবীর কথায়, “ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই বোধ গড়ে ওঠাটাই বড় ব্যাপার। শিবিরে গিয়ে নিজেরও ভাল লেগেছে।”
দিন কয়েক আগেই মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সৌমেনরা। মেডিক্যালেই শিবির আয়োজনের ইচ্ছার কথা জানান। ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, এখানে শিবির হতেই পারে। সেই মতো শনিবার মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাঙ্কে এসে রক্ত দেন একদল কলেজ পড়ুয়া। এমন উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরও। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরার কথায়, “ছাত্রছাত্রীদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। গরমে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা কমে। শিবিরের সংখ্যা কমলে সমস্যা দেখা দেয়। তাই শিবিরের সংখ্যা বাড়ানোর সব রকম চেষ্টা চলছে। রক্তদান নিয়ে সকলে সমান সচেতন হলে শিবিরের সংখ্যা বাড়বে। শিবিরের সংখ্যা বাড়লে নিশ্চিত ভাবেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।” শিবিরে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকার হাতে একটি করে গাছের চারাও তুলে দিয়েছেন পড়ুয়ারা। পরিবেশ বাঁচানোর তাগিদেই এই উদ্যোগ।