ঝাড়গ্রামের তরুণ ব্যবসায়ী সৌরভ অগ্রবাল ওরফে রকি খুনের মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে, সোমবার ঝাড়গ্রাম প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে রকি হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতুবি হয়ে গেল। এ দিন আদালতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি জমা দেন মূল অভিযুক্ত অশোক শর্মা। এরপরই বিচারক বিভাসরঞ্জন দে মামলাটি একমাসের জন্য মুলতুবি করে দেন। সরকারি কৌঁসুলি প্রশান্ত রায় বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট মামলাটির উপর স্থগিতাদেশ জারি করায় এখন আর কোনও রকম পদক্ষেপ করা যাবে না। তাই সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় ঝাড়গ্রাম প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মামলাটি ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতুবি করে দিয়েছেন।”
সম্প্রতি রকি খুনের জেলবন্দি অভিযুক্তদের তরফে হাইকোর্টের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সূত্রের খবর, গত ২৪ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভি গোপালা গৌড়া ও বিচারপতি সি নাগাপ্পনের ডিভিশন বেঞ্চ ওই আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রকি হত্যা মামলার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। ইতিপূর্বে অভিযুক্তদের তরফে মামলাটি ঝাড়গ্রাম আদালত থেকে অন্য আদালতে স্থানান্তরিত করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের তরফে হাইকোর্টে দাবি করা হয়, ঝাড়গ্রামে তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। ঝাড়গ্রাম আদালতে অভিযুক্তদের তরফে কোনও আইনজীবীকে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। হাইকোর্ট অবশ্য মামলাটি অন্য আদালতে স্থানান্তরিত করার আর্জি খারিজ করে দেওয়ার পাশাপাশি, ঝাড়গ্রাম দায়রা আদালতেই মামলাটির দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিযুক্তরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তার আগেই অবশ্য গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সরকারি খরচে অভিযুক্তদের আইনজীবী নিয়োগ করেছিল ঝাড়গ্রাম দায়রা আদালত। গত ২৩ মার্চ ঝাড়গ্রাম প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন থাকায় এ দিন পাঁচ জেলবন্দি অভিযুক্তের মধ্যে অশোক শর্মা, অশোকের দুই আত্মীয় সুমিত শর্মা ও দীনেশ শর্মা এবং অশোকের পরিচারক টোটন রানাকে আদালতে হাজির করানো হয়। অসুস্থতার জন্য হাজির হন নি অশোকের স্ত্রী অন্যতম অভিযুক্ত পুনম শর্মা। এ দিন একটি খয়েরি রঙের খাম হাতে নিয়ে প্রিজন ভ্যান থেকে নামেন অশোক। তার আগেই আদালত নিযুক্ত অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী সুমন দাস মহাপাত্র ইন্টারনেট থেকে নির্দেশের একটি কপি ডাউনলোড করে আদালতে জমা দেন। অশোকের হাতে খাম দেখে বিচারক প্রশ্ন করেন, “আপনার হাতে ওই খামে কী আছে, সর্বোচ্চ আদালতের কোনও নির্দেশ?” অশোক: “হ্যঁা, সুপ্রিম কোর্টের স্টে অর্ডার এনেছি।” এক আদালত কর্মী অশোকের হাত থেকে খামটি নিয়ে বিচারকের এজলাসে জমা দেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেখার পর বিচারক এক মাসের জন্য মামলাটি মুলতুবি করে দেন। এরপর হাসিমুখে আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠেন অশোক।
সাহায্যের হাত। খেজুরির হেঁড়িয়াতে বিক্রমনগর উদয়ন সঙ্ঘের উদ্যোগে প্রায় ৩০০ জন প্রতিবন্ধী মানুষকে হুইল চেয়ার, ট্রাই সাইকেল ও শ্রবণ যন্ত্র প্রদান করা হল। রবিবার হেঁড়িয়া শিবপ্রসাদ হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী, দুই বিধায়ক রনজিৎ মণ্ডল, অর্ধেন্দু মাইতি-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সঙ্ঘের সম্পাদক অরুণ বাগ জানান, কাঁথি ও এগরা মহকুমার সাতটি ব্লকের ১৬২ জনকে ট্রাইসাইকেল, ৮৮ জনকে হুইলচেয়ার ও ৪৩ জনকে শ্রবণ যন্ত্র বিতরণ করা হয়। অন্য দিকে, হলদিয়ার বাড়বাসুদেবপুরের শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্কুল ‘শ্রুতি’-এর ছাত্রছাত্রীদের হাতে শ্রবণযন্ত্র তুলে দেওয়া হল। সোমবার ওই স্কুলের ৯৬ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে শ্রবণ যন্ত্র তুলে দেওয়া হয়।