প্রকাশ্যে নয়, দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে পরোক্ষে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
রামনবমীর মিছিলে অস্ত্রের আস্ফালন দেখে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে সিপিএম। তবে মিছিলে লোকজনের আনাগোনা দেখে দলের একাংশ চুপিসারে মানছে, আগামী দিনে বিজেপি মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। পরিস্থিতি দেখে গরিব মানুষকে আগলে রাখার নিদান দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। শনিবার মেদিনীপুরে দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির বৈঠকে তাঁর বার্তা, ‘গরিব মানুষকে আগলে রাখতেই হবে। গরিব মানুষ সঙ্গে থাকলে নিচুতলার সংগঠন মজবুত হবে।’ বৈঠকে সূর্যকান্তবাবুর প্রত্যয়ী ঘোষণা, দলের যে সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে, যে সব গণসংগঠন রয়েছে, সেই সব সংগঠনের সকল সদস্য যদি ভয়- ভীতি ঝেড়ে ফেলে আন্দোলন- সংগ্রামে নামেন, তাহলে পশ্চিমবাংলায় সিপিএমকে কেউ রুখতে পারবে না। দলের এক সূত্রে খবর, বৈঠকে বাম ঐক্যের ওপরও জোর দেন তিনি।
এ দিন দুপুরে মেদিনীপুরের কৃষক ভবনের সভাঘরে সিপিএমের জেলা কমিটির বৈঠকে সূর্যবাবু ছাড়াও ছিলেন মদন ঘোষ, দীপক সরকার, তরুণ রায় প্রমুখ। দলের বৈঠকে বিজেপি-বিপদ নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করলেও প্রকাশ্যে অবশ্য বিজেপিকে গুরুত্ব দিতে চাননি সূর্যবাবু। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, রাজ্যে তাঁরাই প্রধান বিরোধী শক্তি। যদিও তৃণমূল- বিজেপির বোঝাপড়া রয়েছে দাবি করে সূর্যবাবুর মন্তব্য, “ওঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কী বোঝাপড়া বলতে পারবো না। মানুষই ঠিক করবে কে এক নম্বর, কে দু’নম্বর।’’
তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অপশাসনের অভিযোগ তুলে পএ দিন বিকেলে মেদিনীপুর শহরে মিছিল করে সিপিএম। সেখানে সূর্যবাবু ছাড়াও পা মেলান রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মদন ঘোষ, দীপক সরকার, দলের জেলা সম্পাদক তরুণ রায়রা। কলেজ মাঠের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিল বিভিন্ন পথ ঘোরে। মিছিল থেকে সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা দেওয়া হয়।