অবাধ গর্ভপাতেও এ বার নজরদারি স্বাস্থ্য দফতরের

অনুমতি ছাড়াই অবাধে চলছে গর্ভাপাত। এমনকী বন্ধ্যাকরণও। অভিযোগ উঠছে এমনটাই। শিশু পাচারেরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে নার্সিংহোমে পরিদর্শন শুরু করেছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।

Advertisement

অভিজিৎ চক্রবর্তী

ঘাটাল শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:০৮
Share:

অনুমতি ছাড়াই অবাধে চলছে গর্ভাপাত। এমনকী বন্ধ্যাকরণও। অভিযোগ উঠছে এমনটাই।

Advertisement

শিশু পাচারেরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে নার্সিংহোমে পরিদর্শন শুরু করেছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। গোপনে নজরদারি শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য ভবন। আর এই কড়া নজরদারিতেই স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের হাতে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে। ঘটনার কথা স্বীকার করে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনই নার্সিংহোমগুলির নাম প্রকাশ করব না। নথি সংগ্রহের কাজ চলছে। সমস্ত তথ্য হাতে পাওয়ার পরই অভিযুক্ত সমস্ত নার্সিংহোমগুলির মালিকদের শো-কজ করা হবে। পরে সেগুলি বন্ধও করে দেওয়া হবে।’’

নিয়ম বলছে, গর্ভপাত করানোর জন্য নার্সিংহো গুলিতে এমটিপি (মেডিক্যাল টার্মিনেশন প্রেগন্যান্সি) লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। একই ভাবে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে বন্ধ্যাকরণের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ অনুমতি। কিন্তু ওই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ঘাটাল শহর-সহ জেলার অনেক নার্সিংহোমেই দেদার গর্ভপাত এবং বন্ধ্যাকরণ করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “বিষয়টি দফতরের অজানাও নয়। স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের মদতেই নার্সিংহোম মালিকেরা আইনকে পাত্তা না দিয়েই এই কাজ করছেন।” একই সুর জেলার এক নার্সিংহোম মালিকের গলাতেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মালিক বলেন, “জেলার পঁচানব্বই ভাগ নার্সিংহোমেই গর্ভপাত এবং বন্ধ্যাকরণের অনুমতি নেই। বিষয়টি বেআইনি হওয়ায় আমরাও কোনও তথ্য রাখিনি। সবই হয় গোপনে।”

এখন গোপনে নজরদারি চালিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের আর কী কী নজরে আসে, সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন