উদ্বোধন: খড়্গপুরের চৌরঙ্গিতে বিবেক উদ্যান। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
রেলশহরের উন্নয়নে বাধা হিসেবে রেলের অনুমতি না পাওয়াকেই দায়ী করলেন রাজ্যে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার খড়্গপুরের চৌরঙ্গিতে মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এমকেডিএ) উদ্যোগে তৈরি বিবেক উদ্যানের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। সেই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “আমি খড়্গপুরের পুরপ্রধানের প্রস্তাব পেয়েছি। সেগুলি আমি অনুমোদন করে দিচ্ছি। খড়্গপুরে উন্নয়নের অনেক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বাধা হচ্ছে রেলের অনুমতি পাওয়া যায় না।”
প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মুম্বই-কলকাতা ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে খড়্গপুর-মেদিনীপুর শহরের সংযোগস্থলে গড়ে তোলা হয়েছে বিবেক উদ্যান। উদ্যানে রয়েছে বিবেকানন্দের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। গাছ, জল, সৌর পথবাতির ব্যবস্থাও রয়েছে উদ্যানে। অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে উন্নয়নের কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে পুরসভা, এমকেডিএ-কে এগিয়ে যেতে বলেন শুভেন্দুবাবু।
খড়্গপুর বাসস্ট্যান্ডের মানোন্নয়ন, বেশ কয়েকটি রুটের বাস চালু, চৌরঙ্গিতে হাইমাস্ট আলো, চৌরঙ্গি থেকে খড়্গপুর শহরে ঢোকার মুখে পথবাতি বসানোর দাবি জানিয়ে পরিবহণমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে পুরসভা। এ দিন শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমি মনে করি প্রদীপ সরকার তাঁর প্রতিনিধিদের নিয়ে রেলের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। প্রয়োজনে জেলাশাসক ও রাজ্য সরকার তাঁকে সাহায্য করবে। আমরা নেত্রীকেও বলব যাতে এই বিষয়টি নিয়ে তিনি উঁচু মহলে কথা বলেন।” তাঁর কথায়, “এমকেডিএ-র এগ্জিকিউটিভ অফিসার, চেয়ারম্যানকে বলব আপনারা শুধু নগরোন্নয়ণ দফতর নয়, আমাদের থেকেও টাকাও নিতে পারেন। আমরা দেব।”
বিবেক উদ্যানে সৌর আলো লাগিয়েছে এমকেডিএ। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুবাবু বলেন, “এখানে পরিবেশবান্ধব সৌর আলো লাগিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু এই আলো সবসময় কাজ করে না। এখানে হাইমাস্ট আলো বা এলইডি আলো দেওয়া যেতে পারে।” খড়্গপুর-মেদিনীপুর শহরের সংযোগস্থল চৌরঙ্গিতে দীর্ঘদিন ধরে আলোর অভাব ছিল। এ ছাড়াও ওই এলাকায় একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির দাবিও দীর্ঘদিনের। মন্ত্রীর পরামর্শ, “এখানে হাইমাস্ট আলো, সুসজ্জিত আলো, যাত্রী প্রতীক্ষালয় গড়ে তুলুন। কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। নগরোন্নয়ন দফতরও অনেক টাকা দিচ্ছে।” অনুষ্ঠান শেষে খড়্গপুরের একটি বেসরকারি হোমিওপ্যাথি কলেজের ছাত্রী নিবাসের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন পরিবহণমন্ত্রী।