সবাইকে ধরুন, বার্তা শুভেন্দুর

বন্‌ধের দিনে মারামারিতে খুনের চেষ্টার মামলা হয়েছিল আগেই। নাম জড়িয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতির চার বিজেপির সদস্যের। এ বার কেশিয়াড়িতে সভা করে মামলায় নাম থাকা সকলকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে গেলেন মন্ত্রী তথা কেশিয়াড়ি পুর্নদখলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেশিয়াড়ি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:২৯
Share:

নেতা: মারধরে জখমদের সঙ্গে শুভেন্দু। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

বন্‌ধের দিনে মারামারিতে খুনের চেষ্টার মামলা হয়েছিল আগেই। নাম জড়িয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতির চার বিজেপির সদস্যের। এ বার কেশিয়াড়িতে সভা করে মামলায় নাম থাকা সকলকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে গেলেন মন্ত্রী তথা কেশিয়াড়ি পুর্নদখলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শুভেন্দু অধিকারী। যা শুনে বিজেপি নেতারা বলছেন, আগেই প্রশাসনকে ব্যবহার করে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন স্থগিত করা হয়েছে। এ বার শুরু হল জয়ী বিজেপি সদস্যদের মামলায় জড়ানোর প্রক্রিয়া। দল ভাঙাতে না পেরেই তৃণমূল এই পথ নিয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

Advertisement

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৩-১২ ব্যবধানে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছিল বিজেপি। অশান্তির আশঙ্কার কথা বলে বার বার সেই সমিতির বোর্ড গঠন স্থগিত করে দিয়েছে প্রশাসন। তার প্রতিবাদে গত ২২ জানুয়ারি কেশিয়াড়িতে বন্‌ধ ডেকেছিল বিজেপি। সে দিন ভসরা এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় বিজেপি ও তৃণমূল। সেই ঘটনায় তৃণমূলের কয়েকজন আহত হন। থানায় অভিযোগ করে তৃণমূল। অভিযুক্তদের তালিকায় পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী চার বিজেপি সদস্যের নামও রয়েছে। তাঁদের অবশ্য এখনও ধরেনি পুলিশ। এ দিন পুলিশের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, “ছয়জন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের লোকেদের বলব অভিযুক্তেরা ভারতের যে প্রান্তেই লুকিয়ে থাকুক না কেন আপনাদের ওই অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে হবে। অভিযুক্তেরা যাতে কোনও ভাবে জামিন যাতে না পায় তার জন্য যা-যা করার করতে হবে।”

বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন দু’বার স্থগিত হয়ে যাওয়ায় হাইকোর্টে মামলা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজেপির চার জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে গ্রেফতার করলে তাঁদের বোর্ড গঠনে উপস্থিত থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। সেটাই চাইছে তৃণমূল। বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাসের প্রতিক্রিয়া, “কেশিয়াড়িকে অশান্ত করার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে আগে গ্রেফতার করা উচিত। আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের কিনতে পারেনি। তাই মামলা করে সকলকে গ্রেফতার করতে বলেছে। ”

Advertisement

এ দিন পরিবহণমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা চাইলে ওঁদের পিঁপড়ের মতো করে দিতে পারি। কিন্তু না। যেহেতু দু’-একটি অঞ্চলে বিজেপি জিতেছে, প্রধান বিজেপির হয়েছে তাই আমরা মানুষকে শুধু তৃণমূল ও বিজেপির পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিতে চাই।” এই প্রসঙ্গে ফের তিনি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, “আমরা এফআইআর করেছি। পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকিদের গ্রেফতারের দাবি করছি। তাঁরা যাতে জামিন না পান সেই দাবিও করছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন