সংবর্ধনা শুভেন্দু অধিকারীকে।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে বীরসিংহ গ্রামে শুরু হল বিদ্যাসাগর মেলা। যুব কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে এ দিন মেলার উদ্বোধন করেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। এতদিন এই মেলা বঙ্গীয় সাক্ষরতা প্রসার সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হত। রাজ্যে পালাবদলের পর মেলার দায়িত্ব নেয় যুব কল্যাণ দফতর। ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই এই মেলার আহ্বায়ক। তবে জেলা রাজনীতিতে শঙ্করবাবু বরাবরই শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী গোষ্ঠী বলেই পরিচিত। তবে সামনে বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখেই কোন্দল মেটাতে অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। এ দিন শঙ্কর দোলই বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যাই নেই। উনি আমাদের সাংসদ। আমাদের আমন্ত্রণে তাই শু‘‘আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যাই নেই। উনি আমাদের সাংসদ। আমাদের আমন্ত্রণে তাই শুভেন্দুবাবু এসেছেন।’’ মেলায় দুই গোষ্ঠীর সমর্থকরা হাজির ছিলেন। আর এমন ঘটনায় খুশি দলের কর্মীরাও। এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অভিনেতা সোহম ও শুভশ্রী।
সোমবার মেলার উদ্বোধন উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা বের হয়। পাশাপাশি একটি বাইক র্যালিও হয়। মেলা কমিটির সম্পাদক তথা খড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, “সাতদিনের এই মেলায় সরকারি নানা সহায়তা এবং পরিষেবা দেওয়া ছাড়াও কৃতীদের সংবর্ধনা, দুঃস্থদের শীতবস্ত্র দান করা হয়। সঙ্গে যাত্রা, স্থানীয় ও কলকাতার নামী শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছৌ নৃত্য তো রয়েইছে।’’
আবার, এ দিনই চন্দ্রকোনার জাড়াতে শুরু হল লোকসংস্কৃতি উৎসব। জাড়া পরিবার জনকল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে ১২তম এই মেলার উদ্বোধন করেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন স্থানীয় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সাত দিনের এই উৎসবের সূচনা হয়। মেলা কমিটির সম্পাদক প্রতাপ বিশ্বাসের কথায়, এ বারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ কৃষি, পুষ্প ও চিত্র পদর্শনী। জাড়া হাইস্কুল মাঠে এপিজে আবদুল কালাম মঞ্চে প্রতিদিনই প্রতিযোগিতামূক ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ছাড়াও গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতি শিল্পীদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান হবে। ছিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, চন্দ্রকোনার বিধায়ক ছায়া দোলই, দুর্গাশঙ্কর পান, সুজয় পাত্র, গৌতম ভট্টাচার্য প্রমুখ।
স্মরণ কর্মসূচি। পাঠানকোটে জঙ্গি হামলায় নিহত জওয়ানদের স্মরণে মঙ্গলবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কর্মসূচি হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের উদ্যোগে এই কর্মসূচি। শহিদবেদীতে মাল্যদান করা হয়। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। জঙ্গি হামলায় নিহত জওয়ানদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।