Swasthayasathi Cupon

মেশিনের অভাবে থমকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের গতি

ভাগ আবেদন জমা পড়েছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের। মেদিনীপুর পুরসভা এলাকায় ২৫টি ওয়ার্ডে দফায় দফায় বিভিন্ন কেন্দ্রে হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এখনও চলছে সেই কর্মসূচি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দিয়েছিলেন জেলা শাসকের কার্যালয়ে বিশেষ ক্যাম্পে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:১৫
Share:

প্রকল্পের কাজ চলছে। -ফাইল চিত্র।

দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তবে বেশির ভাগ আবেদন জমা পড়েছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের। মেদিনীপুর পুরসভা এলাকায় ২৫টি ওয়ার্ডে দফায় দফায় বিভিন্ন কেন্দ্রে হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এখনও চলছে সেই কর্মসূচি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দিয়েছিলেন জেলা শাসকের কার্যালয়ে বিশেষ ক্যাম্পে। মেদিনীপুর পুরসভা এলাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। আরও ১৭ হাজার আবেদনের কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

এ ছাড়া আরও কিছু আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলির কাজ শুরু হবে। ৫ লক্ষ টাকার বীমার আওতায় প্রতি কার্ডে পরিবারের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। মেদিনীপুর শহরে ওই কার্ড তৈরি হচ্ছে বাস স্ট্যান্ডে পুরসভার একটি ঘরে। বাস স্ট্যান্ডের দোতলায় উঠতে যেমন সমস্যা হচ্ছে, তেমন একটি মেশিন থাকায় কাজের গতিও কম। মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত ভাবে কংগ্রেস দাবি জানিয়ে এসেছিল, প্রতি ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ছবি তোলা হোক। মেদিনীপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্যের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেন বলে সূত্রের খবর। যাতে শহরে আরও একটি মেশিন দিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ছবি তোলার ব্যবস্থা করা যায়।

মহকুমা শাসক নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “মেদিনীপুর পুরসভা এলাকায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরির জন্য আরও একটি মেশিন আসতে চলেছে। সেই মেশিনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ক্যাম্পের মাধ্যমে ছবি তোলার কাজ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’’

Advertisement

মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন, “দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আবেদন অনেক জমা পড়েছে। একটি মেশিন থাকায় প্রতিদিন বেশি কার্ড করা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকাবাসীরা তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। যাতে কাজের গতি বাড়ানো যায়, সে জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। একটি মেশিন আসছে বলে জানা গিয়েছে। সেটি এলে কাজের গতি বেড়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন