রেললাইন বসবে, বন্ধ রাস্তার কাজ

দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, খড়্গপুর-টাটানগর শাখার তৃতীয় লাইনের কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। রেলের জমিতে থাকা রাস্তার ওই এলাকায় রেল লাইন পাতার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে রাস্তাটির ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন। ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক (সদর) নকুলচন্দ্র মাহাতো বলেন, “কাজটি অসম্পূর্ণ থাকায় রেলের কাছে আমরা ওই রাস্তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। একান্তই কাজ করা না-গেলে বিকল্প ভাবনাচিন্তা করা হবে।”

Advertisement

কিংশুক গুপ্ত

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৭ ০০:৩২
Share:

জেলা সদর ঝাড়গ্রাম থেকে বাঁশতলা হয়ে মানিকপাড়া যাওয়ার ১৬ কিলোমিটার লম্বা রাস্তার ১২ কিলোমিটার পিচ ঢালাই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায়। বাকি চার কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়নি। কারণ, রাস্তার ওইটুকু অংশ রয়েছে রেলের আওতায়। রেলের আপত্তিতেই থমকে আছে সংস্কার কাজ।

Advertisement

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া পঞ্চায়েতের লালগেড়িয়া-রাসুয়া মোড় থেকে মানিকপাড়া যাওয়ার চার কিলোমিটার ওই অসম্পূর্ণ মাটির রাস্তাটি গর্তে ভরে উঠেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই যান চলাচলে সমস্যা হয়। কাদা মাখা রাস্তায় সাইকেল বা মোটর বাইক নিয়ে যেতে গিয়ে উল্টে পড়ে জখম
হন আরোহীরা।

প্রশাসন সূত্রের দাবি, কয়েক দশক আগে ওই মাটির রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। ঝাড়গ্রাম-সর্ডিহা শাখার রেল লাইন একেবারে পাশে ওই রাস্তা। তাই তার কিছুটা অংশ তৈরি হয়ে গিয়েছিল রেলের জমি নিয়ে। কিন্তু এখন আর রেল অনুমতি দিচ্ছে না রাস্তা পাকা করার। স্থানীয় গুজিদাম গ্রামের প্রবীণ ভরত মাহাতো বলেন, “আমাদের ছোটবেলায় মাটির রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। তখন কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ তাদের জমিতে রাস্তা হওয়া নিয়ে আপত্তি করেনি।”

Advertisement

দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, খড়্গপুর-টাটানগর শাখার তৃতীয় লাইনের কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। রেলের জমিতে থাকা রাস্তার ওই এলাকায় রেল লাইন পাতার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে রাস্তাটির ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন। ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক (সদর) নকুলচন্দ্র মাহাতো বলেন, “কাজটি অসম্পূর্ণ থাকায় রেলের কাছে আমরা ওই রাস্তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। একান্তই কাজ করা না-গেলে বিকল্প ভাবনাচিন্তা করা হবে।”

জঙ্গলমহলে মাওবাদী সন্ত্রাস পর্বে এই রাস্তার উপর বহু নাশকতা ঘটেছে। ২০০৯ সালে বাঁশতলায় রাজধানী এক্সপ্রেস থামিয়ে দিয়েছিল মাওবাদীরা। সে ইতিহাস সরিয়ে রাখলে ঝাড়গ্রাম শহর থেকে মানিকপাড়া যাওয়ার সহজ পথ এই। ঝাড়গ্রাম থেকে লোধাশুলি হয়ে মানিকপাড়ার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। কিন্তু এই রাস্তায় ঝাড়গ্রাম থেকে মানিকপাড়ার দূরত্ব অনেক কম। মানিকপাড়া এলাকাতেই রয়েছে সর্ডিহা স্টেশন। ফলে ঝাড়গ্রাম শহর থেকে বাঁশতলা রেল স্টেশন ছুঁয়ে ওই পথে প্রতিদিন প্রায় হাজার পাঁচেক লোক যাতায়াত করেন। স্থানীয় বড়বাড়ি, গোদারাস্তা, বাঁশতলা, লালগেড়িয়া, রাসুয়া, গুইমারা, ইন্দ্রাবনি, গুজিদাম, পূর্বশোল, ধাতকিনালা গ্রামের বাসিন্দাদের নিত্যদিনের বাজার করতে হলেও এই রাস্তা দিয়ে মানিকপাড়া বাজারে যেতে হয়। ফলে চরম অসুবিধায় পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন