ফের চুরি সোনার দোকানে, অবরোধ চন্দ্রকোনায়

বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রকোনা শহরের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া গোঁসাইবাজারে সোনার দোকানের তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দ্রকোনা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:০৯
Share:

অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র। 

আবার চুরি সোনার দোকানে। আবার সেই চন্দ্রকোনায়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রকোনা শহরের সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া গোঁসাইবাজারে সোনার দোকানের তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার চুরির খবর সামনে আসতে উত্তেজনা ছড়ায় চন্দ্রকোনা শহরে। দুষ্কৃতীদের ধরার দাবিতে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়ক অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। অবরোধের জেরে ঘণ্টা দুয়েক ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। তৈরি হয় যানজটও। স্থানীয়দের অভিযোগ, অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। যদিও লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। দশজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।

গোঁসাইবাজারে কয়েক মাস আগে সোনার দোকান খুলেছিলেন নৈহাটির বাসিন্দা সঞ্জিত চৌধুরী। আত্মীয়েরাই দোকান দেখভাল করতেন। দোকান বন্ধের পর বাড়ি থেকে মোবাইলে দোকানের সিসি ক্যামেরায় চোখ রাখতেন সঞ্জিত। অভ্যাস মতো বৃহস্পতিবার রাতেও একই কাজ করেছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মাস চারেক আগেই ব্যবসা শুরু করি।বৃহস্পতিবার রাত একটা পযর্ন্ত বাড়িতে বসেই দোকানের ক্যামেরায় চোখ ছিল। সকালেই শুনি চুরির ঘটনা। আমি পুলিশকে সব জানিয়েছি।” এ দিন সকালে দোকানের সামনে তালা পড়ে থাকতে দেখে ঘটনাটি জানাজানি হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীরা চারটি লোহার গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। দুষ্কৃতীরা অবশ্য ভল্টের তালা খুলতে পারেনি। তবে দোকানে সাজানো থাকা বেশ কয়েক ভরি সোনা ও রুপোর গয়না নিয়ে চম্পট দেয়।

Advertisement

সিসিটিভি ফুটেজে প্রাপ্ত দুষ্কৃতীর ছবি। —নিজস্ব চিত্র।

পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার দাবি, “দ্রুতই চুরির কিনারা করা হবে।” কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ দাবি করলেও আসলে চুরির কিনারা সেভাবে হচ্ছে না। অভিযোগ, গত একমাসে গোটা দশ-বার চুরির ঘটনা ঘটেছে। যাদবনগর ঘেঁষা পানিছড়ার সার ব্যবসায়ী রাজীব চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ছাড়া বাকি গুলির কোনও কিনারা হয়নি। একই সঙ্গে উদ্ধার হয়নি চুরি যাওয়া জিনিস। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। এ দিন চুরির খবর প্রকাশ্যে আসতে অধিকাংশ ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে ঘটনাস্থলে জড়ো হন। চলে আসেন শহরের সোনা ব্যবসায়ীরাও। প্রথমে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে কটূক্তি। এক সময় ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কে বাঁশ ফেলে রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। চন্দ্রকোনার একাধিক বাইপাস-সহ মূল সড়ক পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সার দিয়ে বাস-লরি দাঁড়িয়ে যায়। অফিস যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন