জগন্নাথ ঘোড়ই, দীপঙ্কর মণ্ডল এবং পারভেজ আলম। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতিবন্ধকতা কোনও বাধা নয়। জেদ আর ইচ্ছাশক্তিকে সম্বল করেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় সাফল্য পেল জগন্নাথ ঘোড়ই, দীপঙ্কর মণ্ডল ও পারভেজ আলম। তমলুকের নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতি পরিচালিত তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার স্মারক মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র থেকে পড়াশোনা করেছিল ওই তিন ছাত্র। তবে তারা নন্দকুমারের বেতকল্লা মিলনী হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। শনিবার নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে ওই তিন সফল ছাত্রকেই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
নন্দকুমারের বাড়-বহিচবেড়িয়া গ্রামের ছেলে জগন্নাথের জন্ম থেকেই দু’হাত নেই। পা দিয়ে লেখা ছাড়াও সব কাজও করে সে। জগন্নাথ এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ২২২ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। তমলুকের চনশ্বরপুর গ্রামের পারভেজ আলম মূক ও বধির। তবে সব বাধা কাটিয়ে এ বার সে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। পারভেজ উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩৭ নম্বর পেয়ে। নন্দকুমার ব্লকের শিবদত্তপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্কর মণ্ডলেরও দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ। মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ৩৩১।