তালে: জঙ্গলমহল উৎসবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছেন, বিজেপি যেখানে সভা করবে, সেখানে পাল্টা সভার আয়োজন করবে তাঁর দলও।
দলনেত্রীর আদেশ শিরোধার্য। তাই ঝাড়গ্রামে পা রেখেই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বুধবার যে মাঠে সভা করে গিয়েছেন, গড়শালবনির সেই মাঠেই পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন পার্থ। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পাল্টা সভা হবে গড়শালবনির মাঠেই। পার্থ বলেন, ‘‘ওই সভায় আমি ও শুভেন্দু আসব। পাশের জেলার নেতারা আসবেন। কারণ, পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে এক সময় এই ঝাড়গ্রাম ছিল। তবে আমরা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়খণ্ড থেকে বাসে লোক এনে মাঠ ভরাতে চাই না। ঝাড়গ্রামের লোক দিয়েই মাঠ ভরাব।’’
বুধবার গড়শালবনির মাঠে বিজেপি-র সভায় আসার কথা ছিল দলের সভাপতি অমিত শাহের। তবে অসুস্থতার জন্য তিনি আসতে পারেননি। এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, কৈলাস বিজবর্গীয়েরা। অমিত না এলেও বিজেপি-র ওই সভায় জমায়েত হয়েছিল ভালই। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পঞ্চায়েতে ধাক্কার পরে ঝাড়গ্রামে বিজেপি-র সভায় প্রায় ভরা মাঠ তাই মাথাব্যথার কারণ হয়েছে তৃণমূলের। তাই ওই মাঠেই পাল্টা সভা করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে তারা।
এ দিন পার্থ অবশ্য বাইরে থেকে লোক এনে বিজেপি সভা করেছে বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে ওদের নেতা নেই। ওদের সব নেতা বাতিল হয়ে গিয়েছে। বাইরে থেকে নেতারা আসছেন। এসে ঘুরে ঘুরে যাচ্ছেন। হাওয়া মোরগ ওঁরা। এক দিক থেকে আসছেন, অন্য দিক দিয়ে চলে যাচ্ছেন।’’ তৃণমূলের এক জেলা নেতারও ব্যাখ্যা, পাল্টা সভা করে তাঁরা জানাতে চান, কত মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। ২ ফেব্রুয়ারির সভা ভরাতে রূপরেখা তৈরির জন্য ২৮ জানুয়ারি কোর কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। ওই দিন পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঝাড়গ্রামে আসার কথা পার্থর।
একই মাঠে তৃণমূলের পাল্টা সভা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি। দলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, ‘‘বিজেপি-র জনশক্তিকে দেখে ভয় পেয়েছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল তো ক্ষমতায় আছে। পাল্টা সভা করে ওরা নিজেদের দুর্বলতাই প্রকাশ করতে চাইছে।’’