দলীয় সদস্যের বিক্ষোভে ঘেরাও তৃণমূলের প্রধান

একশো দিনের কাজ করেও মজুরি মেলেনি শ্রমিকদের। অথচ ভুয়ো নামে সেই মজুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগে মঙ্গলবার জামবনি ব্লকের গিধনি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে পঞ্চায়েত অফিসে দীর্ঘক্ষণ তালাবন্ধ করে রাখলেন শ’খানেক গ্রামবাসী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:৪৮
Share:

একশো দিনের কাজ করেও মজুরি মেলেনি শ্রমিকদের। অথচ ভুয়ো নামে সেই মজুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগে মঙ্গলবার জামবনি ব্লকের গিধনি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে পঞ্চায়েত অফিসে দীর্ঘক্ষণ তালাবন্ধ করে রাখলেন শ’খানেক গ্রামবাসী। ঘেরাও বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় ছেড়াজোড়া গ্রাম সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য অনিতা শীট। পঞ্চায়েত প্রধান বুলবুল মাহাতোকে প্রায় চারঘন্টা তালাবন্ধ করে রাখা হয়। পরে জয়েন্ট বিডিও-র হস্তক্ষেপে মুক্ত হন বুলবুলদেবী। ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়েছে।

Advertisement

মাস তিনেক আগে অনিতাদেবীর গ্রাম সংসদ এলাকায় একশো দিনের কাজে স্থানীয় বাঁশতলা থেকে কুসুমতলা পর্যন্ত খাল সংস্কারের জন্য ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। গ্রামবাসীর একাংশ খাল সংস্কারের কাজ করেছিলেন। কিন্তু পরে জানা যায়, যাঁরা প্রকৃত কাজ করেছেন, তাঁদের নাম বাদ দিয়ে কিছু ভুয়ো নামের তালিকা তৈরি করে মজুরির টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

অনিতাদেবীর বক্তব্য, “প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করে মজুরির পুরো টাকাটা হাতানোর জন্য প্রধান এই কাজ করেছেন।’’ তাঁর অভিযোগ বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে জানিয়েও লাভ হয়নি।”

Advertisement

এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ অনিতাদেবীর নেতৃত্বে শ’খানেক লোকজন গিধনি পঞ্চায়েত অফিসে হাজির হন। প্রধানকে পঞ্চায়েত অফিসের একটি ঘরে বন্দি করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। জামবনির জয়েন্ট বিডিও সুনীলকুমার মাহাতো ঘটনাস্থলে যান।

গিধনির পঞ্চায়েত প্রধান বুলবুল মাহাতোর দাবি, “যে এলাকায় ওই কাজটি হয়েছে সেখানকার পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে অনিতাদেবী দায় এড়াতে পারেন না। নিজে বাঁচার জন্য এখন ষড়যন্ত্র করে আমাকে জনসমক্ষে হেয় করছেন।” গিধনি গ্রাম পঞ্চায়েতের আট সদস্যই শাসক দলের। প্রধান বুলবুলদেবীর সঙ্গে রয়েছেন চারজন সদস্য। বাকি চারজন সদস্য প্রধানের বিরোধী গোষ্ঠীর।

জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমীর ধল বলেন, “জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সংযত আচরণ করা উচিত। নয়তো সর্বসাধারণের কাছে ভুল
বার্তা পৌঁছবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন