এক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওই নেতার দুর্নীতিতে সামিল না-হওয়ায় নিগ্রহ করা হয় ওই শিক্ষককে।
সোমবার বিকেলে মধ্য হিংলি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল মাইতিকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। লিখিত অভিযোগ না জানানোর জন্যও তৃণমূলের তরফে তাঁকে চাপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও ওই সন্ধ্যায় অল বেঙ্গল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এবিজিএ) পক্ষ থেকে মহিষাদল থানায় অভিযোগ করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত নেতা কমলকান্তি মণ্ডল। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
উৎপলবাবুর অভিযোগ, “অনৈতিকভাবে স্কুলের পোশাকের বিলে আমাকে সই করানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। রাজি না-হওয়ায় আমাকে মারা হল।’’
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সঙ্গে অবশ্য বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে মহিষাদল ব্লক তৃণমূল সভাপতি তিলক চক্রবর্তীর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘ওই শিক্ষক দুর্নীতিগ্রস্ত। সেটা বলতে গিয়েই কমলকান্তির সঙ্গে সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছে। মারধর করা হয়নি।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য হিংলি হাইস্কুলে পড়ুয়াদের পোশাকের টেন্ডার পেয়েছিলেন কমলকান্তি। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য কণিকা মণ্ডলের স্বামী। অভিযোগ, কমলকান্তিবাবু ১৩২টি পোশাক সরবাহ করে ৫০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু পরে অতিরিক্ত ৩০টি পোশাকের দাম চান। তা দিতেই রাজি হননি প্রধান শিক্ষক। আর সমস্যা সেটা নিয়েই।
সোমবার বিকেলে মহিষাদলের বিডিও অফিসের রাস্তায় এই প্রধান শিক্ষককে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করেন ওই তৃণমূল নেতা-সহ তাঁর দলবল। পুলিশের একটি টহলদারি ভ্যান সে সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তারাই শিক্ষককে উদ্ধার করে।
এবিজিএ-র আঞ্চলিক শাখার সম্পাদক কাঞ্চন মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতার হাতে প্রহৃত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরাই মহিষাদল থানায় অভিযোগ করেছি। শিক্ষক মহলের কাছে কালো দিন। এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত।’’