ফাইল চিত্র।
নির্ধারিত দিনের আগেই হাসপাতালে প্রতিষেধক নিতে এসে পাল্টা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেন এক তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের ঘটনা। এ ব্যাপারে ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ফোন করে অভিযোগও করেন স্থানীয় সারিয়া অঞ্চল ওই যুব তৃণমূল সভাপতি তাপস রানা।
গত ১৭ জুলাই বাঁদরের আঁচড়ে জখম হন তাপসবাবু। ওইদিন তিনি গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে গেলে তাঁকে অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দ্বিতীয় ডোজের জন্য তাপসবাবুকে ২১ জুলাই আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ২১ জুলাই কলকাতায় দলের সমাবেশে যাবেন বলে আগের দিন, বৃহস্পতিবারই প্রতিষেধক নিতে তিনি হাসপাতালে হাজির হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে পাশের ব্লক বেলিয়াবেড়ার তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু পর্যাপ্ত রোগী না থাকায় তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাপসবাবুকে প্রতিষেধক দিতে রাজি হননি। কারণ, ওই প্রতিষেধকের একটি ফয়েল থেকে একাধিক রোগীকে ইনজেকশন দেওয়া যায়। এক বার ফয়েল খোলা হলে সেটি পরে আর ব্যবহার করা যায় না। তা ছাড়া ওই প্রতিষেধকের সরবরাহও কম। এ ক্ষেত্রে শুধু তাপসবাবুকে প্রতিষেধক দেওয়া নিয়ে তাঁরা আপত্তি জানান। এরপরেই তাপসবাবু সিএমওএইচ (ঝাড়গ্রাম) অশ্বিনীকুমার মাঝিকে ফোন করে হয়রানির অভিযোগ জানান। যদিও পরে সিএমওএইচ-র হস্তক্ষেপে তাপসবাবু এবং আরও এক রোগীকে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা হয়।
অন্য রোগীদের বক্তব্য, ওই নেতা নির্দিষ্ট দিনের আগেই এসে পড়ায় সমস্যা তৈরি হয়। এতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি নেই। তা ছাড়া শুধু একজনকে দেওয়ার জন্য প্রতিষেধকের ফয়েল খোলা হবে এমন আবদার অর্থহীন। এটা দাদাগিরি ছাড়া কিছু নয়। অশ্বিনীবাবু বলেন, “একটি ফয়েল থেকে পাঁচজনকে প্রতিষেধক দেওয়া যায়। তাপসবাবু নির্ধারিত দিনের একদিন আগে চলে এসেছিলেন। সেজন্যই এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। তাঁকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। তবে হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন।”