বাঁধগোড়ার পরে জামবনির বেলিয়া। ঝাড়গ্রাম জেলায় ফের আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূলের লোকেরাই আগে হামলা চালিয়েছে। তার পর প্রতিরোধ করেছেন গ্রামবাসী। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুরে। তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী ১০ মে বেলিয়ায় সভা করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সী। সভার জন্য মাঠ দেখতে এ দিন বেলিয়ায় গিয়েছিলেন দলের জামবনি ব্লক নেতৃত্ব। ছিলেন ব্লক সভাপতি জগদীশ মাহাতো, ব্লকের কার্যকরী সভাপতি সমীর ধল, জেলা কমিটির সদস্য অর্জুন হাঁসদা-সহ দলীয় প্রার্থী ও কর্মীরা। অভিযোগ, বাইক রেখে বেলিয়া হাটচালা মাঠে ঢুকতেই তেড়ে আসে বিজেপির লোকজন। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দিকে প্রথমে পাথর ছোড়া হয়। পরে টাঙি, লোহার রড, লাঠি নিয়ে চলে হামলা। তৃণমূল নেতাদের একটি গাড়ি ও কর্মীদের ৯টি বাইক ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ।
এর পর কোনও মতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা একটি গাড়িতে চেপে চিল্কিগড় গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছন। পরে পুলিশ গিয়ে ভাঙা বাইকগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মারধরে জখম জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী গোপাল রানা, চিল্কিগড় অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি পরিমল মাহাতো-সহ শাসকদলের ৮ জন নেতা-কর্মীকে চিল্কিগড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
তৃণমূলের জামবনি ব্লক সভাপতি জগদীশবাবু বলেন, “মাঠে দাঁড়িয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় অতর্কিতে বিজেপির লোকজন উপর হামলা চালায়। জামবনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।” বিজেপির জামবনি মণ্ডলের সভাপতি কৃষ্ণপদ মাহাতোর পাল্টা অভিযোগ, “তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই প্রথমে আমাদের দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দিচ্ছিলেন। আমাদের কর্মীরা প্রতিবাদ করলে ওরা আগে মারধর করে। তারপর স্থানীয়রা প্রতিরোধ করেছেন। এটা একেবারেই জনরোষ। এতে দলের কেউ জড়িত নন।’’ পতাকা ছেঁড়ার ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি-ও। তবে বিজেপির পতাকা-ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জগদীশবাবুরা।
ঘটনায় রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, দু’দলের অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।