এক যুবক-যুবতীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ঘিরে গোলমাল বেধেছিল গ্রামে। ভোট মরসুমে তাতেও লেগে গেল রাজনীতির রং। তৃণমূল কার্যালয়ের জানলার কাচ ভাঙার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর-১ ব্লকের গোপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের আঁধারকুলি গ্রামে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় আঁধারকুলি গ্রামে তাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। শঙ্কর নায়েক, মদন নায়েক-সহ সাত সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও সিপিএমের দাবি, গ্রাম্য বিবাদের জেরেই ওই ঘটনা।
ঘটনাটি ঠিক কী?
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে এক বিবাহিত যুবতীকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখতে পাওয়া নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। ওই যুবকের পরিজনেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আগুনে ঘি পড়ে। ওই যুবকের পরিবার সিপিএম ও যুবতীর পরিবার তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। সেই সময় ভিড় থেকে কয়েকজন যুবক ইট ছুড়লে তৃণমূল কার্যালয়ের জানলার কাচ ভেঙে যায়। সংঘর্ষের উপক্রম হলে আসে পুলিশ। ক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
তৃণমূলের গোপালি অঞ্চল সভাপতি স্বপন বিশ্বাসের অবশ্য অভিযোগ, “সিপিএম নেতা শঙ্কর নায়েকের নেতৃত্বে গুন্ডা বাহিনী অকারণে আমাদের অফিসে হামলা চালায়।” যদিও সিপিএমের জোনাল সম্পাদক কমল পলমলের দাবি, “ওই গ্রামে আমাদের সংগঠন দুর্বল। এক যুবক-যুবতীর সম্পর্ক ঘিরে গ্রাম্য বিবাদ থেকে যা কিছু ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।” গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।