অভিযোগ সবংয়ে

তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর

তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে সবংয়ের দশগ্রামের নানকার গ্রামের ঘটনা। ওই দিন রাতে স্থানীয় তিন জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৬ ০০:৫৩
Share:

তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে সবংয়ের দশগ্রামের নানকার গ্রামের ঘটনা। ওই দিন রাতে স্থানীয় তিন জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। দলের ব্লক যুব সম্পাদক বুদ্ধদেব মিশ্রের বাড়িতে ভাঙচুরের পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় রবিবার বিকেল পর্যন্ত ঘটনার বিষয়ে পুলিশে লিখিত কোনও অভিযোগ হয়নি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর দশগ্রামে বেশ কয়েকজন সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অভিযোগ, সদ্য সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে আসা লোকেরা এলাকার বাকি কর্মীদের গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছা মতো কাজ করছেন। শনিবার দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল বাধে। অভিযোগ, ওই দিন রাতে সদ্য দলে আসা একাংশ তৃণমূল কর্মী ব্লক যুব সম্পাদক বুদ্ধদেব মিশ্র, কর্মী খগেন হেমব্রম, সুব্রত মাইতির বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তৃণমূলের যুব নেতা বুদ্ধদেব মিশ্রর অভিযোগ, “সদ্য সিপিএম থেকে দলে আসা সুভাষ সামন্ত আমার বাড়িতে হুমকি দিতে এসেছিল। প্রতিবাদ করায় বাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। ওরা সংখ্যায় বেশি থাকায় প্রতিরোধ করতে পারিনি।” স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মোহন বেজেরও অভিযোগ, “অমূল্য মাইতির হাত ধরে দলে আসা সুভাষ সামন্তরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।”

Advertisement

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি বলেন, “ব্লক নেতা অমূল্য মাইতির হাত ধরে দশগ্রামে সিপিএম থেকে কয়েকজন আমাদের দলে এসেছে। তাই আমাকে মান্যতা দিতে হয়েছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘সদ্য দলে আসা ওই কর্মীরাই আমাদের পুরনো কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে তিনজনের বাড়ি ভেঙেছে বলে শুনেছি। দলীয় ভাবে তদন্ত করে ওঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি। তাঁর কথায়, “কারও বাড়ি ভাঙচুর হয়নি। প্রভাতবাবু কী বলছেন আমার জানার প্রয়োজন নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন