টোটো চালকদের কর্মবিরতি শহরে

অটো-টোটো দ্বৈরথে ফের ভোগান্তির শিকার হলেন যাত্রীরা। নির্দিষ্ট রুটের অটোগুলিতে যাত্রী পরিবহণের দাবিতে মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরে এক টোটো চালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৭ ০০:৫৩
Share:

প্রতিবাদ: কর্মবিরতি টোটো চালকদের। মেদিনীপুরে। নিজস্ব চিত্র

অটো-টোটো দ্বৈরথে ফের ভোগান্তির শিকার হলেন যাত্রীরা।

Advertisement

নির্দিষ্ট রুটের অটোগুলিতে যাত্রী পরিবহণের দাবিতে মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরে এক টোটো চালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে কয়েকশো টোটো নিয়ে জমায়েত করেন টোটো চালকরা। কর্মবিরতির জেরে কয়েক ঘণ্টা শহরের রাস্তা কার্যত টোটো শূন্য হয়ে যায়। আন্দোলন সফল করতে রাস্তায় নামেন টোটো চালকদের একাংশ। মাঝ রাস্তায় টোটো থামিয়ে যাত্রীদের জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। টোটো চালকদের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন দাবিতে কোতোয়ালি থানায় স্মারকলিপি
জমা দেন।

যাত্রীদের স্বার্থে শহরের সব রাস্তায় টোটো চালানোর অনুমতি দেওয়া, চালকদের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও চালকদের উপর হামলা-হেনস্থা বন্ধ করার দাবি জানান টোটো চালকরা। টোটো চালকদের পক্ষে রাজু চৌধুরী, সোমরাজ সাহাদের অভিযোগ, “প্রায়ই টোটো চালকদের উপর অটোর চালকরা চড়াও হচ্ছে। টোটো ভাঙচুর করা হচ্ছে। শহরের ‘লাইফ-লাইন’ পরিবহণ হল টোটো। অথচ আমাদের সমস্যা নিয়ে কেউই ভাবছেন না।”

Advertisement

টোটো চালু হওয়ার পর থেকে পরিষেবা মার খাচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন অটো চালকরা। সে জন্য বাসস্ট্যান্ড থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কয়েকটি রুটে টোটোগুলিকে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তা সত্ত্বেও টোটোগুলি ওই সব রুটে যাত্রী পরিবহণ করছে বলে অটো চালকদের অভিযোগ।

বছর দু’য়েক আগে মেদিনীপুর শহরে টোটো-পরিষেবা শুরু হয়। ক্রমে কয়েকশো টোটো পথে নামে। বছর দেড়েক আগে প্রায় তিনশো টোটোকে রেজিস্ট্রেশন দেয় পরিবহণ দফতর। ওই টোটোগুলির নির্দিষ্ট নম্বর রয়েছে। পরে আরও কয়েকশো টোটো শহরের রাস্তায় নেমেছে। ওই টোটোগুলির অবশ্য কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। প্রতিদিন শহরে টোটোর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত সংখ্যক টোটো পথে নামায় শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বাড়ছে যানজটও।

খড়্গপুর পুরসভা অবশ্য রেলশহরে অটো-টোটোর নির্দিষ্ট রুট বেঁধে দিয়েছে। মেদিনীপুর পুরসভা তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু অবশ্য দায় চাপিয়েছেন পরিবহণ দফতরের উপর। তিনি বলেন, “শহরে কিছু অটো ও টোটোকে অনুমোদন দিয়েছে পরিবহণ দফতর। বাকিগুলির অনুমোদন নেই। এই নিয়ে একটা জটিলতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।” জেলা পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “সমস্যা মেটানোর জন্য পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন