পর্যটকের অপেক্ষায়। নিজস্ব চিত্র।
চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির চত্বরে চালু হল নিখরচায় টোটো-পরিষেবা। প্রশাসনের এই উদ্যোগের ফলে বয়স্ক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী পর্যটক ও দর্শনার্থীরা বিনা খরচে টোটো চেপে পার্কিং এলাকা থেকে মন্দির চত্বরে যেতে পারবেন। এই পরিষেবা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে চিল্কিগড় মন্দির উন্নয়ন সমিতি।
জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর কূল ঘেঁষা গভীর জঙ্গলের মাঝে রয়েছে কনকদুর্গার প্রাচীন মন্দির। আগে সরাসরি গাড়ি নিয়ে জঙ্গল রাস্তা উজিয়ে মন্দির চত্বরে পৌঁছে যাওয়া যেত। কয়েক বছর ধরে মন্দির চত্বরে যানবাহনের ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন মন্দির চত্বরে ঢোকার অনেকটা আগে পার্কিং এলাকায় যানবাহন থামিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রায় দু’শো মিটার জঙ্গলপথ পায়ে হেঁটে মন্দির চত্বরে পৌঁছতে হয়। কিন্তু বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের হেঁটে যেতে খুবই সমস্যা হয়। অনেকে বাধ্য হন ফিরে যেতেও।
জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা মন্দির উন্নয়ন সমিতির সহ-সভাপতি সমীর ধল বলেন, “বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে ব্যাটারি চালিত দূষণহীন টোটো-পরিষেবা চালু করা হয়েছে। বিনামূল্যে এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।” সমীরবাবু জানান, মন্দির উন্নয়ন সমিতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কনকদুর্গা মন্দির চত্বরে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে জামবনি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গ জীব বৈচিত্র্য পর্ষদের আপত্তিতে কনকদুর্গা মন্দির চত্বর ও সংলগ্ন জঙ্গলে আগুন জ্বালানো, বনভোজন, প্লাস্টিক-থার্মোকলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে ধূমপান ও মদ্যপানও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। সিভিক ভলান্টিয়ার এবং মন্দির উন্নয়ন সমিতির নিরাপত্তা কর্মীরা কড়া নজরদারি চালান। মন্দির চত্বরের খাবার দোকানগুলিতেও আগুনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে শিশুদের বিনোদনের সরঞ্জাম রয়েছে। জঙ্গলের ভিতর একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতি পরিখায় বোটিংয়েরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।