পুলিশি সক্রিয়তা কই, ফুঁসছেন ব্যবসায়ীরা

কখনও ঠিকাদার কখনও সোনার দোকানের মালিক— খড়্গপুরে বারবার দুষ্কৃতীদের নিশানা হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার রাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাই আতঙ্কিত শহরের ব্যবসায়ীরা। রাতেই রাতারাতি খরিদা থেকে মালঞ্চ এলাকার সব দোকান বন্ধ হয়ে যায়। শুনশান হয়ে যায় গোটা শহর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৬ ০৭:০৯
Share:

কখনও ঠিকাদার কখনও সোনার দোকানের মালিক— খড়্গপুরে বারবার দুষ্কৃতীদের নিশানা হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার রাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাই আতঙ্কিত শহরের ব্যবসায়ীরা। রাতেই রাতারাতি খরিদা থেকে মালঞ্চ এলাকার সব দোকান বন্ধ হয়ে যায়। শুনশান হয়ে যায় গোটা শহর।

Advertisement

শনিবার মালঞ্চ বাজারে বনধ্‌ ডেকেছিল মালঞ্চ ব্যবসায়ী সংগঠন। সংগঠনের সম্পাদক হৃষিকেন্দু গোপ বলেন, “বারবার ব্যবসায়ীদের উপর হামলায় আমরা আতঙ্কিত। প্রতিবার ঘটনার পরে পুলিশ তৎপর হয়। কিন্তু দু’দিন যেতেই ঢিলেঢালা হয়ে যায় নিরাপত্তা।’’ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাজা রায়। আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন। মালঞ্চর ব্যবসায়ী বাসুদেব দাস, গোলবাজারের ব্যবসায়ী শ্যামল সাহা বলছিলেন, “পুলিশের কঠোর না হলে ব্যবসা করব কী ভাবে?”

এই শহরে বারবার হামলার মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বছর তিনেক আগে বড়বাতির কাছে ডিআইজি ভবনের সামনে খুন হন ব্যবসায়ী রাধেশ্যাম গুপ্ত। গত বছরও একাধিক ব্যবসায়ীর উপর দুষ্কৃতী হামলা হয়েছে। কখনও টাকা ছিনতাই হয়েছে, কখনও খুন হয়েছেন। সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পুলিশি সক্রিয়তার দাবি তুলেছিল জেলা ফরেন লিকার অ্যাসোশিয়েশন। এ দিন সংগঠনের সম্পাদক সম্পাদক রঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘‘এই ঘটনা বোঝাল শহর নিরাপদ নয়। আমরা যাঁরা মদ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাঁরাও আতঙ্কিত।’’ নিরাপত্তার দাবিতে এ দিন সন্ধ্যায় এলাকাবাসীর তরফে থানায় গণ-স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

Advertisement

হামলা নিয়ে সরব রাজনৈতিক মহলও। শুক্রবারই দায়িত্বে ফিরেছেন পুরনো এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল ও আইসি জ্ঞানদেও প্রসাদ সিংহ। নির্বাচন পর্বে তাঁরা বদলি হয়েছিলেন। সিপিএমের জোনাল সম্পাদক অনিতবরণ মণ্ডল বলেন, “পুরনো এসডিপিও ও আইসি ফিরে আসায় শহরের পরিচিত দুষ্কৃতীরা উৎসাহিত হয়েছে।’’ বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়েরও বক্তব্য, “পুলিশের পুরনো পদাধিকারীরা ফিরেছেন। এখন এমন ঘটলে আমরা সরব হব। বিধায়ক দিলীপ ঘোষ কদিনের মধ্যে এসে প্রতিবাদ জানাবেন।’’

এ দিন ঘটনাস্থলে যান তৃণমূলের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। তিনি বলেন, “এই ঘটনা বরদাস্ত করা যাবে না। শুধু পুলিশের ভরসায় না থেকে পাড়ার ক্লাবের ছেলেদের এর মোকাবিলা করতে হবে।’’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তের অবশ্য বক্তব্য, “এটা স্থানীয় দুষ্কৃতীদের কাজ বলে মনে হচ্ছে। শহরে পুলিশ টহল দেয়। মানুষের নিরাপত্তা কীভাবে আরও সুনিশ্চিত করা যায় আমরা দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন