জমির অধিকার চেয়ে সরব আদিবাসীরা

নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ থাকায় এ দিন জেলাশাসকের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বিডিও। বিভিন্ন দফতরে ঢুকে কর্মীদের কাজ বন্ধ করার আবেদন জানান আদিবাসী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০১:১৯
Share:

বিক্ষোভ: খড়্গপুর ২ ব্লক অফিসে আদিবাসীরা। নিজস্ব চিত্র

জমির রেকর্ড, সংরক্ষণ, উচ্ছেদ বন্ধ-সহ নানা দাবিতে ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ে এসে সরব হল আদিবাসীরা। বুধবার দুপুরে খড়্গপুর-২ ব্লকের মাদপুরে ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখায় ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’। এর পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে স্মারকলিপি জমা দেয় তারা। তবে বিডিও না থাকায় ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ের বিভিন্ন দফতরে কর্মচারীদের কাজ বন্ধ করার আবেদন জানায় তারা। পরে অবশ্য যুগ্ম-বিডিও-র সঙ্গে আলোচনার পরে বিক্ষোভ অবস্থান তুলে নেওয়া হয়।

Advertisement

এ দিন আদিবাসীদের ওই সংগঠন প্রথমে যায় ব্লকের ভূমি আধিকারিকের দফতরে। সেখানে ভূমি আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেয় তারা। আদিবাসীদের দাবি, ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় আদিবাসীদের এখনও জমি রেকর্ড না হওয়ায় জোর করে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি জমিতে দীর্ঘদিন ধরে থাকা আদিবাসীদের জমি রেকর্ড করার দাবি জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি পাট্টার জমিরও রেকর্ড করার দাবিতে সরব হয়েছে ওই আদিবাসী সংগঠন। এ দিন ওই সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ব্লকের ভূমি আধিকারিক রাজকুমার সাহা। তিনি বলেন, “জমি রেকর্ড করার যে দাবিতে আদিবাসী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন তাঁদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা নামের তালিকা চেয়েছি। সবদিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি।” আগামী ১২মার্চের মধ্যে এই সংক্রান্ত কাগজপত্র ও তালিকা জমা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

ভূমি আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার পর ব্লক অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ওই সংগঠনের সদস্যেরা। নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ থাকায় এ দিন জেলাশাসকের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বিডিও। বিভিন্ন দফতরে ঢুকে কর্মীদের কাজ বন্ধ করার আবেদন জানান আদিবাসী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তার পরেই অনেক কর্মী অফিসের বাইরে বেরিয়ে যান। দীর্ঘক্ষণ এভাবেই চলতে থাকে আন্দোলন। বিপাকে পড়েন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যেরা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনসু রহমান বলেন, “আমাদের কিছুই না জানিয়ে আদিবাসীরা নানা দাবি নিয়ে চলে এসেছেন। বিভিন্ন দফতরে ঢুকে ক্ষোভ দেখাচ্ছে। অফিসের কর্মীদের কাজ করতে না দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।”

Advertisement

আন্দোলনে শামিল চন্দন সরেন বলেন, “আমরা আগে থেকেই জানিয়ে এখানে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছি। কিন্তু বিডিও নেই। আমরা নানা দাবিতে সরব হয়েছি। দাবি পূরণ না হওয়ায় তাই বিডিও অফিস ঘেরাও করেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন