খড়্গপুরে যাত্রী দুর্ভোগ

টিকিট কাটার যন্ত্র বিকল

নগদ-সঙ্কটে ট্রেনের অসংরক্ষিত টিকিট কাটতে স্মার্টফোনে ইউটিএস অ্যাপ ব্যবহার করছেন অনেকেই। তবে এর খুঁটিনাটি না জানায় ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেকে। অনেকের কাছে আবার স্মার্টফোন না থাকায় সমস্যা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:২৪
Share:

অকেজো টিকিট কাটার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র। — নিজস্ব চিত্র।

নগদ-সঙ্কটে ট্রেনের অসংরক্ষিত টিকিট কাটতে স্মার্টফোনে ইউটিএস অ্যাপ ব্যবহার করছেন অনেকেই। তবে এর খুঁটিনাটি না জানায় ভোগান্তিতে পড়ছেন অনেকে। অনেকের কাছে আবার স্মার্টফোন না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে খড়্গপুর স্টেশনে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে অকেজো স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন(এটিভিএম)।

Advertisement

বছর সাতেক আগে স্মার্টকার্ড ব্যবহার করে টিকিট কাটার জন্য এই যন্ত্রগুলি বসিয়েছিল রেল। পরে ৫ ও ১০ টাকার কয়েন ব্যবহার করে টিকিট কাটার যন্ত্র বসানো হয়। কিন্তু এখন সেগুলি অকেজো। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশন খড়্গপুরে অবহেলাতেই পড়ে রয়েছে এটিভিএমগুলি। খড়্গপুর স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে তিনটি করে মোট ছ’টি স্মার্টকার্ডের স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ দিকে রয়েছে কয়েন দিয়ে টিকিট কাটার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র। কিন্তু কোনওটিই কাজ করে না।

শুধু খড়্গপুর নয়, এই ডিভিশনের মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, গিরিময়দান, বালিচক, পাঁশকুড়া, বাগনান-সহ প্রায় সব স্টেশনেই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে এই যন্ত্র। কিছু যন্ত্র বন্ধ, কয়েকটির মনিটরে লেখা ‘সার্ভিস ইজ নট অ্যাভেলেবল্‌’। যাত্রীদের অনেকে এটিভিএম নিয়মাবলি পড়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বোতাম টিপছেন। তার পরে নিরাশ হয়ে ফিরে গিয়ে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। বাগনানের ট্রেন ধরার অপেক্ষায় থাকা পরিমল শূর বলছিলেন, “দীর্ঘদিন ধরে দেখছি এই মেশিনগুলি অচল। রেলের মেরামতেরও ইচ্ছে নেই। তবে কেন যে সাজিয়ে রেখেছে বুঝি না।” খড়্গপুরের বেনাপুরের বাসিন্দা জ্যোতিন্দ্রনাথ দাসের কথায়, “কেউ দশ টাকার কয়েন নিতে চাইছে না। এই মেশিন সচল থাকলে সেখানে কয়েন ব্যবহার করতে পারতাম।”

Advertisement

রেল সূত্রে খবর, এই টিকিট ভেন্ডিং মেশিন ব্যবহারের সুবিধার জন্য একজন করে সহায়ক নিয়োগ করার কথা। অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীদেরই এই কাজ দেওয়া হয়। কিন্তু যথেষ্ট সংখ্যক সহায়ক নিয়োগ হয়নি। টিকিট কাটার এই স্বংয়ক্রিয় যন্ত্রগুলি চালুর ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ কোনও আশ্বাস দিতে পারছেন না। খড়্গপুরের ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলা বলেন, “টিকিট ভেন্ডিং মেশিনে কয়েন নিয়ে একটা সমস্যা হওয়ায় বন্ধ রয়েছে। আমরা মেশিনগুলি চালানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করব। তবে আপাতত যাত্রীদের ইউটিএস অ্যাপ ব্যবহার করতে বলছি। তাছাড়া টিকিট কাউন্টার তো রয়েছেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন