কয়লা বোঝাই মালগাড়ির ওয়াগন ভেঙ্গে ধাক্কার জেরে রেললাইনের ধারে থাকা একাধিক বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়ল। শুক্রবার ভোর চারটে নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পাঁশকুড়া–হলদিয়া শাখায় তমলুক স্টেশনের কাছে কাপাসবেড়িয়ার ঘটনা।
আর এই ঘটনার জেরে ওই শাখায় কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে রেল দফতরের ইঞ্জিনিয়ার-সহ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। এরপরে ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যুতের লাইন মেরামতির কাজ শুরু হয়। বিকেল নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায় বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
রেল দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোররাতে কয়লা বোঝাই একটি মালগাড়ি হলদিয়া-পাঁশকুড়া রেলপথে হলদিয়া থেকে পাঁশকুড়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে ভোর প্রায় চারটে নাগাদ কেশবপুর ও তমলুক স্টেশনের মাঝে তমলুক শহরের কাপাসবেড়িয়া গ্রামের কাছে মালগাড়ির মাঝের একটি ওয়াগনের দেওয়ালের একাংশ ভেঙে যায়। চলন্ত মালগাড়ির ওয়াগনের লোহার পাতের ওই ভাঙা অংশ বাইরের একদিকে ঝুলে গিয়ে তা রেল লাইনের ধারে থাকা বিদ্যুতের একাধিক খুঁটিতে ধাক্কা খেতে থাকে। ফলে পরপর বিদ্যুতের চারটি খুটি বেঁকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ওই লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে রেল দফতরের ইঞ্জিনিয়ার ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে বিদ্যুতের লাইন মেরামতির কাজ শুরু করেন। খড়্গপুর থেকে রেল দফতরের পদস্থ আধিকরকরাও ঘটনাস্থলে আসেন। একটি লাইনে বিদ্যুৎ না থাকার ফলে লোকাল ও দূরপাল্লার মিলিয়ে কয়েকটি ট্রেন অন্য স্টেশনে আটকে পড়ে। তবে অন্য একটি লাইন চালু থাকায় কিছু সময় পরে ওই রেলপথে আপ ও ডাউন দুই ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে ওই শাখা দিয়ে হলদিয়া ও দিঘা থেকে যাতায়াত করা বিভিন্ন ট্রেন দেরিতে চলাচল করে। ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যুতের লাইন মেরামতির পর বিকেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় ।
পুরস্কার প্রদান। শিশু সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিশু কল্যাণ সমিতি পুরস্কৃত হল। শিশু সুরক্ষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার কলকাতার রবীন্দ্রসদনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যান মন্ত্রী শশী পাঁজা। জেলা শিশু কল্যান সমিতির পক্ষে জেলার অতিরিক্ত জেলাশসক প্রশান্ত অধিকারী পুরস্কার গ্রহণ করেন।