মাস কয়েক আগে গোয়ালতোড়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী এক কিশোরী সাপের ছোবলে মারা যায়। গোড়ায় তাকে হাসপাতালের বদলে পরিজনেরা নিয়ে গিয়েছিলেন এক ওঝার কাছে। ঝাড়ফুঁকে শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়। শেষে হাসপাতালে আনার পথে মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর।
জঙ্গলমহলের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে সর্পদষ্টের চিকিৎসায় বহু মানুষই এখনও ঝাড়ফুঁক-তুকতাকে বিশ্বাস করে। আর তাতে হিতে বিপরীত হয়। সাপের ছোবলে মৃত্যু এড়াতে তাই প্রশিক্ষণ শিবির শুরু করল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মেডিক্যাল অফিসারদের (এমও) প্রশিক্ষণ দিতে শনিবার শিবির হয়েছে মেদিনীপুরে জেলা স্বাস্থ্য ভবনে। সর্পদষ্টের চিকিত্সার নানা দিক নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “শুধু চিকিৎসকদের প্রশিক্ষিত করা নয়, সাপের ছোবল নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিরও সব রকম চেষ্টা চলছে।”
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মেডিক্যাল অফিসারদের প্রশিক্ষণ শেষ হলে ওঝাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই প্রশিক্ষণ হবে ব্লক স্তরে। যে সব এলাকায় সর্পদষ্টের ঘটনা বেশি ঘটে, শুরুতে সেখানেই শিবির হবে। ওঝাদের বোঝানো হবে, ঝাড়ফুঁক করে সর্পদষ্টকে বাঁচানো যায় না। হাসপাতালে নিয়ে গেলেই তার প্রাণ বাঁচতে পারে। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তার মতে, ‘‘ওঁদের যদি সর্পদষ্টের আশু চিকিৎসার প্রয়োজন বোঝানো যায়, তাহলে পরিস্থিতির অনেকখানি উন্নতি হবে। এমনকী সর্পদষ্টের মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনাও সম্ভব হতে পারে।”