boat sink

চরায় ধাক্কা, ডুবল ট্রলার

দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স আসোসিয়েশন এবং স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সূত্রের খবর, গত ১৫ জুন থেকে সমুদ্রে মাছ ধরার মরসুম শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ০৬:৫৭
Share:

দিঘায় চড়ায় ধাক্কা লেগে ডুবল মাছ ধরার ট্রলার। — নিজস্ব চিত্র।

'ব্যান পিরিয়ড' -এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সমুদ্রে মাছ ধরার মরসুম শুরু হয়েছে। তার দু’সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই বড় রকমের দুর্ঘটনা মুখে পড়ল মাছ ধরার দুটি ট্রলার। দিঘা মোহনায় ঢোকার মুখে চড়ায় ধাক্কা লেগে ডুবে গেল দুটি 'মা শিবানী' এবং 'অন্নদাময়ী'। কোনওরকমে সাঁতরে প্রাণে বাঁচলেন ২৪ জন মৎস্যজীবী। বুধবার সন্ধ্যে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে।

Advertisement

দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স আসোসিয়েশন এবং স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সূত্রের খবর, গত ১৫ জুন থেকে সমুদ্রে মাছ ধরার মরসুম শুরু হয়েছে। কয়েক দিন ধরে নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রে আবহাওয়া যথেষ্ট প্রতিকূল। বুধবার বিকেলে একসঙ্গে পাঁচটি ট্রলার সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ফিরছিল। দিঘা মোহনা এবং সেখান থেকে সামান্য দূরে শঙ্করপুর মৎস্য বন্দরে পৌঁছনোর কথা ট্রলারগুলির। সমুদ্র থেকে একই খালপথে ট্রলারগুলিকে শঙ্করপুর এবং দিঘায় যাতায়াত করতে হয়। বুধবার সন্ধ্যে নাগাদ সমুদ্র থেকে গ্রোয়িং বাঁধ বরাবর ধাক্কা লেগে সেখানেই ডুবে যায় 'মা শিবানী' নামে একটি ট্রলার। 'অন্নদাময়ী 'নামে আরেকটি ট্রলার শঙ্করপুরের কাছে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। দুটি ট্রলারই সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুটি ট্রলারে মোট ২৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। তাঁরা সাঁতার কেটে কোনওরকমে পাড়ে ওঠেন। পরে অসুস্থ মৎস্যজীবীদের দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

'মা শিবানী' ট্রলারের মালিক কনককান্তি করণ বলেন, "গ্রোইং বাঁধের সামনের অংশ উঁচু হয়ে গিয়েছে। খাল মুখে ঢোকার পথও মজে গিয়েছে। একসঙ্গে পাঁচটি ট্রলার আসছিল। চারটি ট্রলার কোনওরকমে মোহনায় ফিরে এসেছে। আমার ট্রলারটি চড়ায় ধাক্কা লেগে সম্পূর্ণ ডুবে গিয়েছে। তবে মৎস্যজীবীরা সকলেই রক্ষা পেয়েছেন।’’ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি ট্রলার এবং তার সরঞ্জাম উদ্ধারের কাজ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর চরায় ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বহু ট্রলার। দিঘা এবং শঙ্করপুরে সমুদ্র থেকে ঢোকা এবং বেরোনোর খাল-মুখ পলি জমে উঁচু হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজি‌ং করার দাবি জানিয়ে আসছেন মৎস্যজীবীরা। দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স আসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যাম সুন্দর দাস বলেন, "মোহনায় ঢোকার মুখে খালের নাব্যতা কমে গিয়েছে। ড্রেজিং না হওয়ায় চরা পড়ছে। চরায় ধাক্কা লেগে দুটি ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় দু'কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন