Triplets

মেদিনীপুরের তিন যমজ একসঙ্গে দিচ্ছে মাধ্যমিক, সাগ্নিক, সৈকত ও সম্রাটের প্রথম ‘বড় পরীক্ষা’

২০০৮ সালে একসঙ্গে তিন শিশুপুত্রের জন্ম দেন মনিকা দাশগুপ্ত। তিন ছেলের নাম দেন সাগ্নিক, সৈকত এবং সম্রাট। তিন জনের জন্মের ব্যবধান কয়েক সেকেন্ডের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৯
Share:

তিন যমজ সন্তানকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে মা। —নিজস্ব চিত্র।

একসঙ্গে পড়াশোনা, একসঙ্গে খেলাধুলো। একসঙ্গে মাধ্যমিকে বসল পশ্চিম মেদিনীপুরের তিন যমজ ভাই। সোমবার প্রথম ভাষার পরীক্ষা শেষ করে খয়েরুল্লাচক নেতাজি বিদ্যামন্দিরের তিন ছাত্র একসঙ্গে বলল, ‘‘সহজ প্রশ্ন হয়েছে। ভালই হল পরীক্ষা।’’

Advertisement

২০০৮ সালে একসঙ্গে তিন শিশুপুত্রের জন্ম দেন মনিকা দাশগুপ্ত। তিন ছেলের নাম দেন সাগ্নিক, সৈকত এবং সম্রাট। তিন জনের জন্মের ব্যবধান কয়েক সেকেন্ডের। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী প্রবীর দাশগুপ্ত এবং মনিকার তিন যমজ পুত্র এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মনিকা বলেন, ‘‘তিন ছেলেই পড়াশোনায় ভাল। মাধ্যমিকে প্রত্যেকেই ভাল ফল করবে, আশা করছি।’’ মেদিনীপুর সদর ব্লকের খয়েরুল্লাচকের ওই বাসিন্দা জানান, তিন ভাই একসঙ্গে পড়াশোনা করে। একসঙ্গে স্কুলে যায়। তিন জনেরই দারুণ বোঝাপড়া। ওদের মধ্যে কখনও গন্ডগোল হয় না।

সাগ্নিক, সৈকত এবং সম্রাটকে দু’জন গৃহশিক্ষক পড়ান। বাবা-মা-ও তাদের পড়াশোনায় সাহায্য করেন। তিন যমজ ভাইয়ের পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছে বাড়ি থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে নয়াগ্রাম হাই স্কুলে। সোমবার একটি টোটো ভাড়া করে তারা পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। তিন সন্তানের সঙ্গে ছিলেন মা।

Advertisement

পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে তিন যমজ বলে, ‘‘পরীক্ষা খুব ভাল হয়েছে। প্রশ্ন খুবই সহজ ছিল।’’ মাধ্যমিকের পর তিন যমজই চায় বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে। তাদের মা বলেন, ‘‘তিন জনের একসঙ্গে জন্ম। একসঙ্গে তিন জনকে সামলাতে হিমসিম খেতে হয় আমাকে। আজ কিছুটা স্বস্তি পেলাম। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিচ্ছে তিন ভাই। দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেল ওরা!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement