প্রশিক্ষণের শুরুতেই বিঘ্ন, ফিরলেন শিক্ষকরা

নবম ও দশম শ্রেণির পরিবর্তিত পাঠক্রম নিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের প্রথম দিনেই বিঘ্ন! সোমবার মেদিনীপুরের শ্রীশ্রী মোহনানন্দ বিদ্যাপীঠে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে প্রথমে জানানো হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৫৭
Share:

নবম ও দশম শ্রেণির পরিবর্তিত পাঠক্রম নিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের প্রথম দিনেই বিঘ্ন!

Advertisement

সোমবার মেদিনীপুরের শ্রীশ্রী মোহনানন্দ বিদ্যাপীঠে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে প্রথমে জানানো হয়েছিল। যদিও এ দিন সকালে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ওই স্কুলে গিয়ে দেখেন সেখানে প্রশিক্ষণের কোনও ব্যবস্থাই নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণ বিদ্যাভবনে (বালক) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। ফের সেখানে যান শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

সম্প্রতি নবম ও শ্রেণির পাঠ্যক্রমে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের কী ভাবে পাঠ্যক্রমের নতুন বিষয়গুলি পড়ানো হবে সে বিষয়েই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিটি বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই প্রশিক্ষণের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানানো হয়েছিল। সোমবার মেদিনীপুর ও ঘাটাল মহকুমায় প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ছিল জীবনবিজ্ঞান বিষয়ের প্রশিক্ষণ। মেদিনীপুর মহকুমার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণেই এমন বিঘ্ন ঘটে।

Advertisement

গোলমালের এখানেই শেষ নয়। রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে প্রায় ৮০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে এ দিন প্রশিক্ষণের জন্য ডাকা হয়। যদিও এ দিন ৬৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। বাকিদের প্রশিক্ষণ না নিয়েই ফিরতে হয়।

কেন এমন অব্যবস্থা? পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বলেন, “প্রশিক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট করা প্রথম স্থানটিতে মঙ্গলবার ও বুধবার অন্য অনুষ্ঠান থাকায় স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে।” স্থান পরিবর্তনের বিষয়টি কি শিক্ষকদের জানানো হয়েছিল? এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও সদুত্তর মেলেনি।

জেলা স্কুল পরিদর্শক জানান, একই সঙ্গে প্রতিটি মহকুমায় ও প্রতিটি শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো পরিকাঠামো নেই। তাই প্রথমে মেদিনীপুর ও ঘাটাল মহকুমার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। পরবর্তীকালে খড়্গপুর ও ঝাড়গ্রাম মহকুমায় প্রশিক্ষণ শুরু হবে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রশিক্ষণের স্থান ঠিক করার আগে সব দিক খতিয়ে দেখা হবে বলে শিক্ষা দফতর জানিয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়টি তাঁর অজানা বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি তেমন হয়ে থাকে, তাহলে পরে ফের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।”

বিভিন্ন স্কুলকে চিঠি পাঠানোর পরেও কেন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ফিরতে হল?শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ই-মেলে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছিল। স্কুল শিক্ষা দফতর বিষয়টি খেয়াল না করায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন