ম্যালেরিয়ায় মৃত দুই, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর

গরম পড়তে না পড়তেই ম্যালেরিয়ার থাবা বসাল জঙ্গলমহলে। গত পাঁচদিনে ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনিতে মৃত্যু হয়েছে দুই ম্যালেরিয়া আক্রান্তের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৩
Share:

গরম পড়তে না পড়তেই ম্যালেরিয়ার থাবা বসাল জঙ্গলমহলে। গত পাঁচদিনে ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনিতে মৃত্যু হয়েছে দুই ম্যালেরিয়া আক্রান্তের। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ২২ এপ্রিল জামবনি ব্লকের পলাশবনি গ্রামে মারা যান বছর পঁয়তাল্লিশের ফাগুরাম মুর্মু। ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়া নিয়ে ফাগুরাম ভর্তি হয়েছিলেন চিল্কিগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল রেফর করা হয়। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। ১৮ এপ্রিল জামবনির বছর বাহান্নর গোষ্ঠ সিংহকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ভর্তি করা হয় ম্যালেরিয়া নিয়ে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আবার পাঠানোর কথা ছিল মেদিনীপুর মেডিক্যালে। কিন্তু তার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

এখনও বেলপাহাড়িতে দু’জন, চিল্কিগড়ে দু’জন ও ঝাড়গ্রামে তিন জন ম্যালেরিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঝাড়গ্রাম থেকে একজনকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছে। ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনীকুমার মাঝি বলেন, ‘‘এখনও মানুষ সচেতন নন। সে জন্যই ম্যালেরিয়া থাবা বসাচ্ছে।’’

সেই সঙ্গে তিনি আঙুল তুলেছেন হাতুড়েদের দিকে। গ্রামের ওই সব চিকিৎসক রোগী নিজেদের হাতে আটকে রাখছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করাচ্ছেন না জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা। যখন তাঁরা হাসপাতালে আসছেন, তখন অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর থেকে জামবনি ব্লকের নুনিয়া, দইচাকুরিয়া ও জামবনিতে প্রচারের কাজ শুরু হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু সচেতনতার জন্য পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীদেরও বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা ঝাড়গ্রাম শহরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জমাজল পরিষ্কার করে মশা মারার রাসায়নিক ছড়াবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement