তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেসের দুই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তিন জন। রবিবার সবংয়ের বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির পক্ষ থেকে এক বিজয় উৎসবের আয়োজন হয়। সভায় কংগ্রেসের বিষ্ণুপুর অঞ্চল সভাপতি গৌরহরি বেরার নেতৃত্বে পঞ্চায়েত সদস্য মনোজ বর্মন ও কাজল গিরি তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি, স্থানীয় নেতা অমূল্য মাইতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৮টি আসন বিশিষ্ট বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১১টি আসনে জয়ী হয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। ৭টি আসনে জয়ী হয় কংগ্রেস। যদিও কংগ্রেস অভিযোগ তোলে পঞ্চায়েতে কংগ্রেস সদস্যরা কাজ পাচ্ছিলেন না। এমনকী পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগেও একাধিক বার সরব হন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তারপরে হঠাৎ ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্যের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা কংগ্রেসের অন্দরে।
কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, নির্বাচনের পর থেকেই বিষ্ণুপুর, মোহাড়-সহ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলিতে কংগ্রেস কর্মীদের ওপর অত্যাচার চলছে। কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যদের ওপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। সেই চাপ সামলাতে না পেরেই ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেসের ব্লক সাধারণ সম্পাদক স্বপন মাইতি বলেন, “ওই তিন জন অন্য দলে গিয়েছেন বলে শুনেছি। আসলে তৃণমূলের লাগাতার সন্ত্রাসে ভয় পেয়ে কাপুরুষের মতো ওঁরা দলবদল করেছে।”
যদিও দলত্যাগীদের দাবি, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই তাঁরা তৃণমূল যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতি বলেন, “আমাদের নেত্রী গত পাঁচ বছরে রাজ্যের সর্বত্র উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেস পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার উন্নয়নে ব্যর্থ। এ কথা ওঁদের দলের কর্মীরা জানেন। তাই উন্নয়নের স্বার্থে ওঁরা দলে আসতে চেয়েছিল। আমরা ওঁদের দলে গ্রহণ করেছি।”