বিজেপি’র ডাকা বাংলা বন্ধে কোলাঘাটের দেউলিয়া বাজারের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন দলীয় কর্মীরা। সেই অবরোধ তুলতে গিয়ে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠল কোলাঘাট থানার দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। যার জেরে ওই দু’জনকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করার নির্দেশ দিয়েছেন খোদ পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভি সলোমন নেসাকুমার।
পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার সকালে কোলাঘাট থানা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে দেউলিয়া বাজারে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি’র সমর্থকেরা। যানজটে আটকে পড়েন সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে সেখানে অবরোধ তুলতে যান কোলাঘাট থানার এএসআই শ্যামলেন্দু চৌধুরী- সহ অন্য পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ, তাঁরা অবরোধকারীদের সরিয়ে দিতে পারেননি। এরপর কোলাঘাট থানার ওসি কাশীনাথ চৌধুরী আরও পুলিশ বাহিনী নিয়ে সেখানে অবরোধ তুলতে যান। কিন্তু সে সময় তৃণমূল সমর্থকেরাও সেখানে জমায়েত করায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হয় বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান তমলুকের সার্কেল ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ হালদার। অভিযোগ, তমলুকের সার্কেল ইনস্পেক্টর এবং কোলাঘাট থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী বিজেপি কর্মীদের হটাতে গেলে দু’পক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে। কিন্তু ওই সময় পুলিশবাহিনীর সঙ্গে থাকা শ্যামলেন্দুবাবু এবং এক কনস্টেবল রিন্টু প্রামাণিক ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকদের না জানিয়েই এলাকা ছেড়ে চলে যান। গোলমালের সময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারেরা তাঁদের খোঁজ পাননি বলে অভিযোগ। এর পরেই ওই দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দু’জনের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকেরা জেলা পুলিশ সুপার ভি সলোমোন নেসাকুমারকে রিপোর্ট দেন। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে ওই রাতে জেলা পুলিশ সুপার এএসআই শ্যামলেন্দু চৌধুরী এবং কনস্টেবল পিন্টু প্রামাণিকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করার নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার ভি সলোমান নেসাকুমার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কোলাঘাট থানার এক এএসআই এবং এক কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। তবে এটা আমাদের দফতরের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’’ অন্য দিকে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে শ্যামলেন্দুবাবু এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি।