জোড়া ট্যারান্টুলা বসন্তপুর ও বেলদায়

কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দু’টি ট্যারান্টুলা উদ্ধার করল বন দফতর। রবিবার রাতে খড়্গপুর গ্রামীণের বসন্তপুর ও নারায়ণগড়ের বেলদায় ট্যারান্টুলা মিলেছে। বসন্তপুর গ্রামে ট্যারান্টুলাটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৭ ১৫:৩০
Share:

কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দু’টি ট্যারান্টুলা উদ্ধার করল বন দফতর। রবিবার রাতে খড়্গপুর গ্রামীণের বসন্তপুর ও নারায়ণগড়ের বেলদায় ট্যারান্টুলা মিলেছে। বসন্তপুর গ্রামে ট্যারান্টুলাটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। তারপর রাতে প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হয়। আবার ওই রাতেই বেলদা থানার পিছনে স্থানীয় অরুণ দেবের বাড়ির দেওয়ালে ট্যারান্টুলার দেখা মেলে। বন দফতরের লোকজন এসে সেটিকেও উদ্ধার করে। দু’টি ট্যারান্টুলাই পরে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন আধিকারিকেরা।

Advertisement

দিন কয়েক আগেই সাঁকরাইল ও সবংয়ের দশগ্রাম থেকে ট্যারান্টুলা উদ্ধার হয়েছিল। কীভাবে লোকালয়ে ট্যারান্টুলা আসছে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আফ্রিকার ত্রাস এই প্রাণীটি ভারতীয় আবহাওয়াতেও মানানসই। এ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় এই ট্যারান্টুলা। তবে ছোট নাগপুর মালভূমি এলাকা ট্যারান্টুলার আঁতুড়ঘর। মাকড়শার মতো দেখতে লূতা প্রজাতির এই প্রাণীটির সারা দেহে ঘন লোম রয়েছে। এর শরীরের বিষ অন্য প্রাণীর স্নায়ু দুর্বল করে দেয়। ট্যারান্টুলার কামড়ে মানুষের দেহে চর্মরোগ হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। জঙ্গলে জলাধারের কাছাকাছি পাতার আড়ালে লুকিয়ে থেকে পোকা শিকার করতে পটু এই প্রাণী লোকালয়ে চলে আসায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। খড়্গপুরের ডিএফও অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের এই এলাকার জঙ্গলে ট্যারান্টুলা রয়েছে। জনবসতির পরিধি বাড়ায় জঙ্গল সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। তাই লোকালয়ে এই প্রাণী দেখা যাচ্ছে। আতঙ্কের কারণ নেই। তবে ট্যারান্টুলা কামড়ালে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন