ডিজে বন্ধ করে বাজিমাত করল পুলিশ

বিশ্বকর্মা পুজোয় শিল্প শহর হলদিয়ায় ডিজে বন্ধ করে প্রশংসা কুড়োল মহকুমা পুলিশ।এবছর পুজোর আগেই সমস্ত পুজো কমিটিকে ডেকে বৈঠক করে ডিজে নিষিদ্ধের কথা জানিয়েছিল পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারিজাত বিশ্বাস সাফ জানিয়েছিলেন, ডিজে বাজিয়ে শব্দদূষণ করা হলে পুজো কমিটি ও ডিজে সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। তারই ফল মিলেছে হাতেনাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিশ্বকর্মা পুজোয় শিল্প শহর হলদিয়ায় ডিজে বন্ধ করে প্রশংসা কুড়োল মহকুমা পুলিশ।

Advertisement

এবছর পুজোর আগেই সমস্ত পুজো কমিটিকে ডেকে বৈঠক করে ডিজে নিষিদ্ধের কথা জানিয়েছিল পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারিজাত বিশ্বাস সাফ জানিয়েছিলেন, ডিজে বাজিয়ে শব্দদূষণ করা হলে পুজো কমিটি ও ডিজে সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। তারই ফল মিলেছে হাতেনাতে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, সবচেয়ে বেশি বিশ্বকর্মা পুজো হয় শিল্পতালুকের দুর্গাচক এলাকায়। কিন্তু এবছর সেখানে শব্দের দাপট কমানো গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। দুর্গাচক এলাকার এক বাসিন্দা সোনালি চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘এবার অন্য বছরের থেকে মাইকের দাপট কম থাকায় স্বস্তি পেয়েছি।’’ পরিবারের সঙ্গে প্রতিমা দর্শনে বেরিয়েছিলেন সুজয় মাইতি। সুজয়বাবুর বক্তব্য, ‘‘প্রতি বছর মাইক আর ডিজের শব্দে টেকা যেত না। এবার মাইক বাজঝে ঠিকই। কিন্তু তা রুচিসম্মত ভাবে।’’

Advertisement

এ ব্যাপার দুর্গাচক থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘ডিজে বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রচারও চালানো হয়েছিল তার ফলে এ বার শব্দ তাণ্ডব কম।’’ হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা হলদিয়া, সুতাহাটা, নন্দীগ্রাম-সহ নানা এলাকার মাইক সরবরাহকারীদের ডেকে কী কী করণীয় তা জানিয়েছি। চারটের বেশি মাইক, কোনও ধরনের ডিজে বক্স বা ডিজে ক্যাসেট বাজানোর ওপর নিষেধজ্ঞা জারি করেছি। এছাড়াও অভিযান চালানো হয়েছে।’’

এ দিকে, বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে সোমাবার সকাল থেকেই জেলার নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এসেছেন হলদিয়ায়। বাইরের জেলা থেকে আসা বাস ও গাড়ি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। হলদি নদীর তীরে এদিন ভিড় ছিল দেখার মত। ভিড় হয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল, হলদিয়া পেট্রো কেমিক্যাল এবং এক্সাইডের পুজোতেও।

শুধু তাই নয় হলদিয়া বন্দরে বহু মানুষ জাহাজ দেখতে যান। তবে সাধারণের জন্য বন্দরের দরজা এ দিন খোলা ছিল না। পুজোর মধ্যেও চেনা ছক কেটেছে যানজট। অভিযোগ, রানিচকে নির্মীয়মাণ উড়ালপুলের কারণে এ দিন খুবই যানজট হয়েছে। এতে ইন্ডিয়ান অয়েলের কাছে পুজো দেখতে আসা দর্শনার্থীরা হয়রানির শিকার হয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন