Kanyashree

Duarey Sarkar: ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ ভরতে পাশে কন্যাশ্রীরা

পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর-২ ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ‘কন্যাশ্রী’দের ফর্মপূরণ প্রশংসা কুড়োচ্ছে।

Advertisement

গোপাল পাত্র

পটাশপুর শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২১ ০৮:৪৪
Share:

দুয়ারে সরকার শিবিরে ফর্মপূরণে সাহায্য কন্যাশ্রীদের। নিজস্ব চিত্র।

‘ঘরের লক্ষ্মী’দের পাশে ‘কন্যাশ্রী’! দুয়ারে সরকার শিবিরে আগত মহিলাদের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ফর্মপূরণ করে দিচ্ছে রাজ্য সরকারের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের উপভোগী স্কুলছাত্রীরা।

Advertisement

সরকারি এই কর্মসূচিতে ‘লক্ষ্মী ভান্ডারে’র ফর্ম বিলি ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের বহু নেতৃত্ব যখন বিতর্কের মুখে, তখন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর-২ ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ‘কন্যাশ্রী’দের ফর্মপূরণ প্রশংসা কুড়োচ্ছে।

বুধবার পটাশপুর-২ ব্লকের শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দুয়ারে সরকারে’র শিবির বসেছে শ্রীরামপুর হরপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে। শিবিরে দেখা গিয়েছে, স্কুল ইউনিফর্ম এবং মাস্ক পরে আগত মহিলাদের ‘লক্ষ্ণীর ভান্ডারে’র ফর্মপূরণ করছে মধুমিতা, সুপ্রিয়ারা। অনকেই তাদের কাছে ফর্মপূরণ করানোর জন্য লাইন দিয়েছেন।

Advertisement

ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই ওই স্কুলের ‘কন্যাশ্রী’দের শিবিরে এসে ফর্মপূরণ করার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রথমে খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত হলেও এলাকার মা-কাকিমা-জেঠিমাদের ফর্মপূরণে সাহায্য করতে হবে শুনে এ দিন শিবিরে এসেছেন ১৫ জন ‘কন্যাশ্রী’। ব্যাগ, জলের বোতল, খাবার নিয়েই বসে পড়ছেন ফর্মপূরণ করতে। তবে দিনের শুরুতে সরকারি কর্মীরা এবং পটাশপু-২ এর বিডিও শঙ্কু বিশ্বাস ‘কন্যাশ্রী’দের ফর্ম পূরণের বিষয়টি শিখিয়ে দেন। পরে বিডিও নিজে হাজির থেকে পুরো বিষয়টি তদারকি করেন।

নিজেদের সন্তানের বয়সী কন্যাশ্রীদের দেখে তাঁদের কাছে ফর্মপূরণ করাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। খড়িকা পাটনা গ্রামের বাসিন্দা সীতারানি দাস এ দিন সকাল থেকে লাইন দাঁড়িয়ে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম তুলেছেন। কিন্তু কীভাবে ফর্মপূরণ করবেন, তা বুঝতে পারছিলেন না। ‘কন্যাশ্রী’রা ডেকে তাঁর ফর্মপূরণ করে দেয়। সীতারানি বলেন, ‘‘আমার মেয়ের মতোই তো এরা। ডেকে নিয়ে গেল। নিজেরাই ফর্মপূরণ করে ছবি লাগিয়ে দিল। কোনও অসুবিধা হয়নি। ভালভাবেই ফর্ম জমা দিতে পেরেছি। মেয়েদের এই কাজে খুশি।’’ খুশি দ্বাদশ শ্রেণির কন্যাশ্রী মধুমিতা পাত্র, সুপ্রিয়া রায়েরা-ও। তারা বলছে, ‘‘প্রথমেশুনে অস্বস্তি হচ্ছিল। এখন খুব আনন্দ লাগছে। এছাড়া আমারও এখান থেকে আবেদনপত্র পূরণের খুঁটিনাটি বিষয় জানতে পারলাম।’’

‘কন্যাশ্রী’দের দিয়ে কেন এমন উদ্যোগ?

ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্য বিভিন্ন প্রান্তের শিবিরগুলিতে ফর্মপূরণের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে বিভিন্ন ভাবে টাকা নেওয়া অভিযোগ উঠছে। কোথাও ফর্মপূরণ ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলেছে। ‘কন্যাশ্রী’রা ফর্মপূরণ করলে কোনও বিতর্ক যেমন থাকবে না, তেমনই এই সব স্কুল পড়ুয়াদের প্রশাসনিক কাজকর্ম সম্পর্কেও অভিজ্ঞতা হবে। ভবিষ্যতে কোনও সরকারি কাজে গিয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। বিডিও শঙ্কু বিশ্বাসের কথায়, ‘‘বিতর্ক তৈরি না হওয়ার পাশাপাশি, কন্যাশ্রীদের সরকারের কাছে সামিল করে তাদের সমাজসেবার পাঠ শেখানো হচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা আগামী দিনে তাদের চাকরির পরীক্ষা জন্য কাজে লাগবে। কন্যাশ্রীরা যে উৎসাহে কাজ করেছে, তা প্রশংসার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন