জলের তলায় নলকূপ, ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক বাড়ি

টানা বৃষ্টি ও জলাধার থেকে জল ছাড়ায় ঘাটালের জলমগ্ন এলাকার পরিস্থিতির উন্নতি হল না শুক্রবারও। ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “জলাধারগুলি থেকে নতুন করে জল ছাড়ার কোনও খবর নেই। শনিবার থেকে জলস্তর নামতে শুরু করবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৯
Share:

জলেই দোকান। ঘাটালের রথতলায়। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।

টানা বৃষ্টি ও জলাধার থেকে জল ছাড়ায় ঘাটালের জলমগ্ন এলাকার পরিস্থিতির উন্নতি হল না শুক্রবারও। ঘাটালের মহকুমাশাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “জলাধারগুলি থেকে নতুন করে জল ছাড়ার কোনও খবর নেই। শনিবার থেকে জলস্তর নামতে শুরু করবে।”

Advertisement

বুধবার সকাল থেকেই শিলাবতী, ঝুমি ও কংসাবতী নদীর জল বাড়তে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিলাবতী উপচে জলমগ্ন হয়ে পড়ে ঘাটালের একাধিক গ্রাম। জলের তলায় চলে যায় ঘাটাল শহরের ১২টি ওয়ার্ড। এ ছাড়াও ঘাটালের আটটি পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রাম, চন্দ্রকোনা-১ ও ২ ব্লকের তিনটি পঞ্চায়েতের ৩০টি মৌজাও জলমগ্ন। ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ বলেন, “শহরের ১২টি ওয়ার্ডই জলের তলায়। ঘাটালের একাধিক রাস্তাও জলমগ্ন। পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে পুরসভার পক্ষ থেকে নৌকো দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলও সরবরাহ করা হচ্ছে।”

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জলমগ্ন বিভিন্ন এলাকায় নৌকো পাঠানো হয়েছে। বিলি করা হয়েছে জলের পাউচও। বেশিরভাগ নলকূপও জলে ডুবে রয়েছে। ফলে পানীয় জলের সঙ্কটও রয়েছে। জল বাড়ায় বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংয়োগ বিচ্ছিন্ন।

Advertisement

জলমগ্ন এলাকাগুলিতে বাড়ছে ক্ষতির বহরও। ঘাটাল মহকুমার প্রায় দু’শোটি মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক বাড়ি। ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের ক্ষীরপাই সংলগ্ন মনসাতলা চাতালও জলমগ্ন থাকায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধই ছিল। শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement