মাধ্যমিকে নজর কাড়ল জঙ্গলমহল

পাশের হারে রাজ্যে তৃতীয় পশ্চিম, ষষ্ঠ ঝাড়গ্রাম

গতবার অবশ্য জেলার স্থান ছিল রাজ্যে দ্বিতীয়। পূর্ব মেদিনীপুরের ঠিক পরেই। এ বার তৃতীয়। গতবার জেলার পাশের হার ছিল ৯১.৭৫ শতাংশ। যেখানে রাজ্যে গড় পাশের হার ছিল ৮৫.৪৯ শতাংশ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৯ ০০:২৩
Share:

ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনে মার্কশিট হাতে পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র

মাধ্যমিকে সাফল্যের হারে এগোচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর। এ বার পাশের হারে রাজ্যে এ জেলার স্থান তৃতীয়। একে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। দুইয়ে কলকাতা। কলকাতার ঠিক পরেই রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর।

Advertisement

গতবার অবশ্য জেলার স্থান ছিল রাজ্যে দ্বিতীয়। পূর্ব মেদিনীপুরের ঠিক পরেই। এ বার তৃতীয়। গতবার জেলার পাশের হার ছিল ৯১.৭৫ শতাংশ। যেখানে রাজ্যে গড় পাশের হার ছিল ৮৫.৪৯ শতাংশ। এ বার রাজ্যে গড় পাশের হার ৮৬.০৭ শতাংশ। আর এ জেলার পাশের হার ৯১.৭৮ শতাংশ। শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, পূর্ব মেদিনীপুরে সাফল্যের হার সর্বাধিকই থাকে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের ধীরে ধীরে সামনে উঠে আসাটা চমকপ্রদই। জেলার এক শিক্ষাকর্তার কথায়, ‘‘পাশের হারে পূর্ব মেদিনীপুরকে টেক্কা দেওয়া কঠিন। কারণ, পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে জঙ্গলমহলের একাংশ রয়েছে। যে এলাকা শিক্ষার দিক থেকে একটু পিছিয়ে। শালবনি, গোয়ালতোড়ের মতো এলাকার কিছু প্রত্যন্ত গ্রামে শিক্ষার আলো এখনও সে ভাবে পৌঁছয়নি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘গত কয়েক বছরে অবশ্য ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ওই সব এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছতে শুরু করেছে।’’ জেলা পরিষদের সহ- সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে অনেকগুলো স্কুল মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে উন্নীত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এর সুফল মিলছে।’’

মাধ্যমিকে পাসের হারে রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা। গতবারের তুলনায় এবার অবশ্য জেলায় সার্বিক পাশের হার কিছুটা কমেছে। তবে স্কুল ভিত্তিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে জেলার আটটি ব্লকে প্রত্যন্ত গ্রামেগঞ্জের স্কুলগুলিতে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ বা তারও বেশি নম্বর পেয়েছে পড়ুয়ারা। ঝাড়গ্রামের প্রত্যন্ত বাঁধগোড়া অঞ্চল হাইস্কুলের ছাত্র শুভদীপ মাজি ৬৮১ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে দশম হয়েছে।

Advertisement

শহর ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি, জেলার প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলিতেও ভাল ফলের কারণ ব্যাখ্যা করে মাধ্যমিক পরীক্ষার ঝাড়গ্রাম জেলার আহ্বায়ক তপন পাত্র বলেন, ‘‘জঙ্গলমহলের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। কন্যাশ্রী প্রকল্প, সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল পেয়ে মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের প্রবণতা কমেছে।’’ এর পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘‘তফসিলি জাতি ও জনজাতি স্কলারশিপ এবং মাইনোরিটি স্কলারশিপ পাচ্ছে পড়ুয়ারা। বিনামূল্যে পাঠ্যবই পাচ্ছে। ধাপে ধাপে স্কুলগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে। এখন প্রত্যন্ত গ্রামের অনেক স্কুল স্মার্ট ক্লাস চালু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন