আগাছা আর জঞ্জালে ঢেকেছে শিশু উদ্যান

মেচেদা শহর এলাকার শিশুদের খেলাধূলা ও বেড়ানোর জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল শিশু উদ্যান। পাঁচিল ঘেরা এই উদ্যানের মধ্যে রয়েছে শিশুদের জন্য দোলনা-সহ নানা খেলার ব্যবস্থা।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল

তমলুক শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:২৫
Share:

মেচেদার পার্কের হাল এমনই। নিজস্ব চিত্র।

মেচেদা শহর এলাকার শিশুদের খেলাধূলা ও বেড়ানোর জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল শিশু উদ্যান। পাঁচিল ঘেরা এই উদ্যানের মধ্যে রয়েছে শিশুদের জন্য দোলনা-সহ নানা খেলার ব্যবস্থা। রয়েছে বিশালাকার এক জিরাফের প্রতিকৃতি, বাঁধানো পাকা রাস্তা ও গাছপালা। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে চালু হওয়ার মাত্র তিন বছরের মধ্যে আগাছা, আবর্জনায় এখন বেহাল এই শিশু উদ্যান। শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে থাকা শিশু উদ্যানের এমন হাল দেখে বেজায় ক্ষুদ্ধ মেচেদা শহর এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

হলদিয়া-মেচেদা জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কের সংযোগস্থলে পাঁচমাথার মোড়ের কাছে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাওয়ার পথে বাম দিকে রয়েছে শিশু উদ্যান। কোলাঘাট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের দেওয়া জায়গায় বছর তিনেক আগে এই শিশু উদ্যান গড়ে তোলে শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতি। প্রতিদিন বিকেল চারটে থেকে সন্ধ্যা ৬ টা শিশু উদ্যান খোলার ব্যবস্থা রয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা খুদেদের নিয়ে শিশু উদ্যানে আসেন। কিন্তু শিশু উদ্যানের মধ্যে নিয়মিত আবর্জনা সাফাই এবং খেলার সামগ্রীর পরিচর্যার অভাব রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

উদ্যানে গিয়ে দেখা যায় বাচারা পাম, ঝাউগাছগুলির অনেকগুলিই শুকিয়ে গিয়েছে। উদ্যানের চারদিকে থাকা ঝাউগাছগুলি আগাছায়া ঢেকেছে। যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে রয়েছে। আর খেলনা-সহ বিভিন্ন সামগ্রীগুলিতে অযত্নের ছাপ স্পষ্ট। পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। নেই আলোর ব্যবস্থা । এলাকার বাসিন্দা কাশ্মিরা খাতুন বলেন, ‘‘বিকেলে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঘোরার জায়গা বলতে এই শিশু উদ্যান। কিন্তু নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার হয় না। গাছগুলিও পরিচর্যা করা হয় না। আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যে হলে অন্ধকারে ঢেকে যায়।’’ উদ্যানের এমন হাসের কথা স্বীকার করে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বামদেব গুছাইত বলেন, ‘‘শিশু উদ্যানের পরিচর্যার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এইসব কাজ করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন