চার বছরে নির্মল জেলা, স্বীকৃতি মঞ্চে

তৈরি শৌচাগার ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা দেখতে নজরদারি চলে। নজরদারিতে আরও গতি আনতে চলেছে জেলা প্রশাসন। এ কাজে গতি আনতে প্রতি ব্লকে এ বার ‘রিসোর্স টিম’ গড়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেশিয়াড়ি শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৩৮
Share:

পশ্চিম মেদিনীপুরকে নির্মল জেলা হিসেবে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। সোমবার এই ঘোষণা করা হয়। এ দিন কেশিয়াড়ির প্রশাসনিক সভায় জেলাশাসক পি মোহনগাঁধীর হাতে নির্মল জেলার শংসাপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

আগেই জেলা থেকে রাজ্যের কাছে ওই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। জেলায় ২০১৪ সালের অক্টোবরে নির্মল বাংলা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, পশ্চিম মেদিনীপুরের ২১টি ব্লকে শৌচাগারবিহীন পরিবারের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৯৭৪। শুরুতে কয়েকটি করে গ্রাম পঞ্চায়েত ধরে শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পরে অবশ্য জেলার সব গ্রাম পঞ্চায়েতেই এই কাজ শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের দাবি, শৌচাগারবিহীন সব পরিবারেই এই সময়ের মধ্যে শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। তৈরি শৌচাগার ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা দেখতে নজরদারি চলে। নজরদারিতে আরও গতি আনতে চলেছে জেলা প্রশাসন। এ কাজে গতি আনতে প্রতি ব্লকে এ বার ‘রিসোর্স টিম’ গড়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ব্লক পিছু ১০ জনের টিম গড়া হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষাবন্ধুর মতো বিভিন্ন স্তরের মানুষকে নিয়ে এই দল গঠন করা হয়েছে। ‘ব্লক রিসোর্স টিম’ (বিআরটি) গ্রামস্তরের, সংসদস্তরের কাজকর্মের পর্যালোচনা করবে। সরেজমিন এলাকা পরিদর্শন করবে। বিডিওরা নজরদারির কাজে এই টিমকে উৎসাহ দেবেন। খোলা জায়গায় প্রাত:কৃত্য সারলে কী ভাবে পরিবেশ দূষিত হয়, রোগ ছড়ায়, রিসোর্স টিম গ্রামে গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের এ সবও বোঝাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন