নজর সরকারি হাসপাতালেও

এ বার সরকারি হাসপাতালেও পরিদর্শন শুরু করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য ভবন। শিশু পাচার চক্রের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সরকারি হাসপাতালে আয়াদের ঢোকা নিষিদ্ধ করেছিল স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:২০
Share:

ঘাটাল হাসপাতাল পরিদর্শনে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। নিজস্ব চিত্র।

এ বার সরকারি হাসপাতালেও পরিদর্শন শুরু করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য ভবন।

Advertisement

শিশু পাচার চক্রের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সরকারি হাসপাতালে আয়াদের ঢোকা নিষিদ্ধ করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি কর্তব্যরত চিকিৎসক থেকে সমস্ত স্তরের কর্মীদের পোশাক ব্যবহার, গলায় পরিচয় পত্র ঝুলিয়ে রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। সেই নির্দেশ আদৌ মানা হচ্ছে কি না তা দেখতেই রবিবার হঠাৎ ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা।

রবিবার বেলা বারটা নাগাদ হাসপাতালে ঢুকেই তিনি সোজা চলে যান প্রসূতি বিভাগে। সঙ্গে ছিলেন সুপার কুনাল মুখোপাধ্যায় ও জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য স্থায়ী সমিতির সদস্য পঞ্চানন মণ্ডল। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “ঘাটাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই আয়াদের ঢোকা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এখনও কর্তব্যরত চিকিৎসক থেকে কর্মীরা পোশাক ও পরিচয় পত্র ব্যবহার শুরু করেননি। সুপারকে দ্রুত এই নির্দেশ কাযর্কর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, সাতদিনের পরেও এই নিয়ম কেউ না মানলে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সরকারি নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সুপার কুনাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “চিকিৎসক-সহ সমস্ত স্তরের কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছি। তবে অধিকাংশ কর্মীদেরই পরিচয় পত্র নেই। সেই কাজ চলছে।”

Advertisement

গিরীশচন্দ্র বেরা আরও জানান, এ বার থেকে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন না। আর বিশেষ প্রয়োজন হলে সুপারের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গেটপাশ ছাড়া কেউ হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন না। এ দিন একাধিক নার্সিংহোমেও পরিদর্শন করেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement