midnapore

জল যেন বন্ধ  না হয়, বিজ্ঞপ্তি

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দফতরের অধীন গ্রামে গ্রামে যে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পগুলো রয়েছে, সেগুলো দিনে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা চালু রাখতেই হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৪৪
Share:

পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পগুলিকে চালু রাখতেই হবে।

সামনে পঞ্চায়েত ভোট। শাসক দল তৃণমূলের জনসংযোগে চলছে পুরোদমে। সেই কর্মসূচির নাম ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। কর্মসূচিতে গ্রামে যাচ্ছেন ‘দিদির দূত’ দলীয় বিধায়ক, নেতারাই। খোঁজ নিচ্ছেন, সাধারণ মানুষ রাজ্য সরকারি প্রকল্পগুলোর সুযোগ-সুবিধা ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না। শুনছেন অভিযোগ। কিছু এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার কথা শুনেছেন ‘দিদির দূত’রা। ঘটনাচক্রে, এই সময়েই বিজ্ঞপ্তি জারি করল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মেদিনীপুর ডিভিশন। সম্প্রতি জারি করা বিজ্ঞপ্তির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রতিটি ব্লকে।

Advertisement

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দফতরের অধীন গ্রামে গ্রামে যে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পগুলো রয়েছে, সেগুলো দিনে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা চালু রাখতেই হবে। পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পগুলো সকাল ৬টা থেকে বেলা ১০টা এবং বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা- কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা চালু রাখতেই হবে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (মেদিনীপুর) শামীদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গ্রামে নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে যে পদক্ষেপ করার করা হয়েছে।’’

সামনে পঞ্চায়েত ভোট। কোথাও যাতে পানীয় জলকষ্টের ছবি সামনে না আসে, সেটা নিশ্চিত করতেই কি ওই পদক্ষেপ, জল্পনা একাধিক মহলে। না হলে জল সমস্যা হতে পারে বিরোধীদের হাতিয়ার। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এক কর্তার অবশ্য দাবি, ‘‘এটি বিভাগীয় পদক্ষেপ।’’ জেলার এক তৃণমূল বিধায়ক মনে করাচ্ছেন, ‘‘আমাদের দলের সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি নিছক জনসংযোগ নয়, কর্মসূচিটির লক্ষ্যই মা-মাটি-মানুষের জীবনের সঙ্গী হওয়া।’’ দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘পানীয় জল সরবরাহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অনিয়মিত জল সরবরাহ হচ্ছে, কোনও এলাকা থেকে এমন অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হবে।’’

Advertisement

গরম পড়লে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর, মেদিনীপুর সদর, শালবনি, ঘাটাল, দাসপুর-১, দাসপুর-২ গড়বেতা-২, গড়বেতা- ৩ চন্দ্রকোনা-১, খড়্গপুর-২ এর মতো ব্লকে জলের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। ইতিউতি থাকা নলকূপ, পাতকুয়ো শুকনো হয়ে যায়। মেদিনীপুর গ্রামীণের এক গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলছিলেন, ‘‘প্রতি বছরই গ্রীষ্মে জলের অভাব শুরু হয়ে যায়। জলস্তর নামে। নলকূপ অকেজো হয়।’’ এক গ্রামবাসী বলছিলেন, ‘‘চার সদস্যের পরিবারে রোজ প্রায় ২০০ লিটার জল খরচ হয়। কাচাকুচি, রান্না, স্নান, ঘর মোছার মতো কাজে।’’

জেলার বিভিন্ন এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলপ্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে নলবাহী পানীয় জল গ্রামে গ্রামে সরবরাহ হয়। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গ্রীষ্মে কোথাও কোথাও জলের অভাব দেখা দেয়, এটা ঠিক। তবে সমস্যা দেখা দিলেই কিন্তু দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আগে কিছু এলাকায় জলসঙ্কট থাকত। নতুন প্রকল্প হওয়ার ফলে তা অনেকটাই মেটানো সম্ভব হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন