ভোটে কত বাস মিলবে, জানতে চায় নির্বাচনী দফতর

জেলার অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্ত মানছেন, ‘‘ভোটের জন্য জেলা থেকে কত বাস দেওয়া যেতে পারে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। কত সংখ্যক বাস দেওয়া যেতে পারে তা জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৫
Share:

লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ভোটের জন্য কত বাস ভাড়ায় দেওয়া যাবে, জেলার কাছে তা জানতে চেয়েছে নির্বাচনী দফতর। সবদিক খতিয়ে দেখতে তড়িঘড়ি বৈঠকও করেছে জেলার পরিবহণ দফতর। দফতর প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে প্রায় ৭৫০টি বাস দেওয়া যেতে পারে। জেলায় এই সংখ্যক বাস রয়েছে।

Advertisement

জেলার অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্ত মানছেন, ‘‘ভোটের জন্য জেলা থেকে কত বাস দেওয়া যেতে পারে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। কত সংখ্যক বাস দেওয়া যেতে পারে তা জানানো হয়েছে।’’ দফতরের এক সূত্রে খবর, সম্প্রতি বাস মালিকদের নিয়ে মেদিনীপুরে এক বৈঠক হয়। পরিবহণ দফতরে বৈঠকটি হয়েছে। বৈঠকে বাস মালিকদের প্রতিনিধিদের কাছেও জেলার পরিবহণকর্তারা জানতে চেয়েছিলেন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ঠিক কত সংখ্যক বাস রয়েছে। বাস মালিকদের প্রতিনিধিরা জানিয়ে দেন, প্রায় ৭৫০টি বাসই রয়েছে।

ভোটের সময়ে দিন কয়েক বাসের প্রয়োজন হয়। নির্বাচনী দফতর বাস ভাড়ায় নেয়। বাসে করেই ভোটকর্মীরা বুথে বুথে পৌঁছন। অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তারক্ষীদেরও বাসে করে বুথে বুথে নিয়ে যাওয়া হয়। ভোটের সরঞ্জামও বাসে করে বুথে পৌঁছয়। কখনও কখনও প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস মেলে না। তখন লরিও ভাড়া করা হয়। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, এ বার লরি ভাড়ায় নেওয়ার সম্ভাবনা কম। বুথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাসই ব্যবহৃত হতে পারে। তাই আগে থেকে পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। জেলা থেকে কত বাস ভাড়ায় দেওয়া যেতে পারে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় বুথের সংখ্যা কম নয়। আগে জেলায় ৪,২৫৫টি বুথ ছিল। পরে ৩৪টি বুথ বেড়েছে। এখন জেলায় বুথের সংখ্যা ৪,২৮৯টি। ভোটের কাজে কতজন কর্মী যুক্ত থাকতে পারেন? জেলা প্রশাসনের এক সূত্র জানাচ্ছে, কমবেশি ২২ হাজার ভোটকর্মী যুক্ত থাকতে পারেন। জেলায় ভোটে এই সংখ্যক কর্মীই প্রয়োজন। ইতিমধ্যে নির্বাচনী দফতরের নির্দেশ মেনে পশ্চিম মেদিনীপুরে অনলাইন পোর্টালে ভোটকর্মীদের নাম নথিভুক্তি শুরুও হয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে কাজ অনেকটা এগিয়েছে। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখতে আগেই এক বৈঠক হয়েছে। জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) দফতরের কর্তারা। সেই বৈঠকে প্রয়োজনীয় কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এ বার সমস্ত বুথেই ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন’- এর (ইভিএম) সঙ্গে ‘ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেল’ (ভিভিপ্যাট) ব্যবহার হবে। ফলে, এগুলোয় যাতে কোনও ত্রুটি- বিচ্যুতি না হয় তাও দেখা হচ্ছে। এই সংক্রান্ত প্রচারের উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে। ভোটকর্মীদের সঙ্গে ইভিএম, ভিভিপ্যাট বাসে করেই বুথে বুথে পৌঁছবে। সেই প্রস্তুতি সারা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন