হচ্ছে বিকল্প পাইকারি বাজার

রেলশহরের সব থেকে বড় বাজার হল গোলবাজার। এখানে একই সঙ্গে চলে খুচরো ও পাইকারি ব্যবসা। তবে পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকতে থাকা বাজার ক্রমে ঘিঞ্জি হচ্ছে। যাতায়াতে দুর্ভোগ বাড়ছে ক্রেতাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৭ ০০:৫৩
Share:

পরিদর্শন: জমি দেখছেন খড়্গপুরের পুরকর্তারা। —নিজস্ব চিত্র।

রেলশহরের সব থেকে বড় বাজার হল গোলবাজার। এখানে একই সঙ্গে চলে খুচরো ও পাইকারি ব্যবসা। তবে পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকতে থাকা বাজার ক্রমে ঘিঞ্জি হচ্ছে। যাতায়াতে দুর্ভোগ বাড়ছে ক্রেতাদের। আবার পাইকারি ব্যবসার জন্য শহরে ঢোকা ট্রাক-লরির জেরে নিত্য যানজটে ভোগান্তিও হচ্ছে। পণ্য খালাসেও বেগ পেতে হচ্ছে সব্জি ও মাছের পাইকারি ব্যবসায়ীদের।

Advertisement

এই সমস্যায় দাঁড়ি টানতে এ বার উদ্যোগী হল খড়্গপুর পুরসভা। ঠিক হয়েছে, বিকল্প পাইকারি বাজার গড়ে তোলা হবে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে। ইতিমধ্যে গোলবাজার সংলগ্ন দেবলপুর থেকে পাঁচবেড়িয়া হয়ে জাতীয় সড়কের সংযোগকারী রাস্তার মাঝে একটি সরকারি জমি চিহ্নিতও করেছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সেই জমি সরেজমিনে দেখে এসেছেন পুরসভার কর্তারা। তাঁদের দাবি, জাতীয় সড়কের ধারে পুরসভার সীমানাবর্তী এলাকায় থাকা পাঁচবেড়িয়া ও ওয়ালিপুর মৌজায় থাকা প্রায় ৫০একর খাস জমিতে জবরদখল হচ্ছে। সেখানে এই ধরনের প্রকল্প গড়ে উঠলে উন্নত পরিকাঠামো বাজার গড়ার পাশাপাশি জমি পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।

তাই ওই জমি চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করতে চলেছে পুরসভা। খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “জাতীয় সড়কের ধারে বিকল্প পাইকারি বাজার গড়ে উঠলে গোলবাজারের ভেতরের পাইকারি বাজারটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এতে ওই রাস্তায় যে সব সরকারি খাসজমি রয়েছে, তার জবরদখলও ঠেকানো যাহবে। আমরা জমি দেখে এসেছি। এ বার রাজ্য সরকারের কাছে জমি চেয়ে আবেদন করব।”

Advertisement

শহরের বাইরে পাইকারি বাজার গড়ে উঠলে রোজকার যানজট থেকে মুক্তি মিলবে বলে মনে করছে শহরবাসী। কারণ, গোলবাজার এলাকায় দিনের বেলা ট্রাক দাঁড়িয়ে মাল নামায় বলে যানজটে চলাফেরা করা যায় না। কথা শুনতে হয় পাইকারি ব্যবসায়ীদেরও। তাছাড়া সব্জি ও মাছের পাইকারি বাজার সরিয়ে নিয়ে গেলে বর্ষায় নিকাশি সমস্যা ও দূষণ থেকেও রেহাই মিলবে। তাই পুরসভার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরাও। গোলবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক সুরেশ সোনকার বলেন, “গোলবাজারে নানা অসুবিধার মধ্যে ব্যবসা করতে হয়। শৌচাগার নেই, আলো নেই, রাস্তা নেই। পুরসভা বিকল্প পাইকারি বাজার করলে সত্যি সুবিধা হবে।’’ এ ক্ষেত্রে পুরসভা যাতে পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে, সেই প্রস্তাবও দিয়েছেন সুরেশবাবু। এ ব্যাপারে পুরপ্রধানের বক্তব্য, “খুচরো বাজার আলাদা হলে শহরের ক্রেতা-বিক্রেতা দু’য়েরই লাভ হবে। আমরা নিশ্চয় বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়েও আলোচনায় বসব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন