গাছে বেঁধে ‘মদ্যপ’ স্বামীকে বেধড়ক মার, মৃত্যু স্বামীর

বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর গ্রামীণের লছমাপুরের খাটরাঙা গ্রামে। মৃতের নাম রতন ঘোষ (৪৮)। ঘটনায় রতনের দ্বিতীয় স্ত্রী অনিমা ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৮ ০০:০১
Share:

স্বামীর মদ্যপান করা নিয়ে প্রতিদিনই বাড়িতে অশান্তি হত। মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে সে স্ত্রীকে মারধর করত বলেও অভিযোগ। এ বার মদ্যপান করে এসে অশান্তি করায় গাছে বেঁধে মারধর করে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে।

Advertisement

বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর গ্রামীণের লছমাপুরের খাটরাঙা গ্রামে। মৃতের নাম রতন ঘোষ (৪৮)। ঘটনায় রতনের দ্বিতীয় স্ত্রী অনিমা ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। অভিযোগ, এ দিন মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসেছিলেন রতন। সেই নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী অনিমা, ছেলে বিশ্বজিৎ ও কার্তিকের সঙ্গে অশান্তি চলছিল। অভিযোগ, সেই সময়ে ছেলেদের সাহায্য নিয়ে রতনকে গাছে বেঁধে ফেলে অনিমা। তার পরে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রতনের। যদিও মৃতের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে পুলিশের দাবি। তবে এমন ঘটনায় অনিমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রতনের ভাইপো সুভাষ ঘোষ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় কাঠ মিস্ত্রি রতন প্রথম স্ত্রী লিলি ঘোষ থাকা সত্ত্বেও বহু বছর আগে অনিমার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। একই বাড়িতে থাকতেন দুই স্ত্রী-ই। অভিযোগ, ইদানীং সে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে দুই স্ত্রীর ওপরেই অত্যাচার করত। গত কয়েকদিন আগে এমন ঘটনায় বাপের বাড়ি যান রতনের প্রথম স্ত্রী লিলি। কিন্তু তাতেও শান্ত হয়নি রতন। বুধবারও মদ্যপ অবস্থায় এসে অশান্তি শুরু হতেই ঘটে যায় এমন ঘটনা। তবে ঘটনার পরেই দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে সরব হয় রতনের পরিজনেরা। অভিযোগকারী ভাইপো সুভাষ ঘোষের অভিযোগ, “কাকা প্রতিদিন মদ্যপান করে বাড়িতে এসে অশান্তি করত এটা ঠিক। কিন্তু এ ভাবে তো কাউকে গাছে বেঁধে খুন করা ঠিক নয়। ছোট কাকিমা অনিমা এই খুন করেছে। আমরা তাই ওর শাস্তি চাই।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন