পঞ্চায়েতে তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছে, গ্রামীণ সড়কে চলবে ১০ টনের বেশি ভারী গাড়ি চলবে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, তা অমান্য করেই ইট, বালি, পাথরকুচি বোঝাই লরি চলছে চণ্ডীপুরে। আর তার জেরেই শনিবার সকালে চাকনান বাজারের কাছে নরঘাট থেকে চৌখালি বাজারগামী গ্রামীণ সড়কে ঘটে গেল দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল অঞ্জলি মাইতি (২৫) নামে এক বাইকআরোহীর। পুলিশ জানায়, অঞ্জলিদেবীর বাড়ি ভগবানপুর থানার গোপালপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পুজোর কেনাকাটার জন্য প্রতিবেশী উত্তম করণের বাইকে চড়ে তমলুকের রাধামণি বাজারে যাচ্ছিলেন অঞ্জলিদেবী।
গ্রামীণ সড়ক ধরে যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ এক বাঁকে বিপরীত দিক থেকে আসা বালিবোঝাই লরির মুখোমুখি হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাইকটি। পিছনের আসনে থাকা অঞ্জলিদেবী সড়কের উপর ছিটকে পড়লে লরির চাকা তাঁর উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অঞ্জলিদেবীর। উত্তমবাবু সড়কের ধারে ছিটকে পড়ে আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে চণ্ডীপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়েরা লরিটি ভাঙচুর করে। সড়কও অবরোধ হয় কিছু ক্ষণের জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা সুপ্রভাত পাত্র বলেন, “প্রশাসনের নিষেধ না মেনে দিনের বেলায় এই সড়কে নির্মাণ সামগ্রী বোঝাই লরি চলাচল করছে। এ ছাড়া সড়কের একাংশ দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রেখে দেওয়া হয়। ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা।” গ্রামীণ সড়কে নজরদারির অভাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বৃন্দাবনপুর-২ পঞ্চায়েত প্রধান শঙ্কর দাস। তাঁর কথায়, “গ্রামীণ সড়কে ভারী মালবাহী গাড়ি যাতায়াতে নিষেধ রয়েছে। তবে এ ধরনের গাড়ি চলাচল আটকানোর মতো লোকবল পঞ্চায়েতের নেই।”
পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় যুক্ত লরির চালক পলাতক। লরিটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।